পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] বিভিন্ন জাতি ও সমাজ । や○ ংৈষ্ণবের সংখ্যা অতি কম। কায়স্থ, নবশাক, বৈশুসাহা, মালো, নমঃশূদ্রাদি জাতিসমূহ প্রায় সকল স্থলেই বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম মতাবলম্বী। এই সকল জাতিগণ মধ্যে মালা তিলক শিখাধারণ, হরিসংকীৰ্ত্তণ এবং গোস্বামিগণের নিকট বৈষ্ণব মতে দীক্ষা গ্রহণ প্রথা বর্তমান আছে। বৈষ্ণব সম্প্রদায় মধ্যে এই জেলার কয়েকট বিভাগ দেখিতে পাওয়া যায়। (১) চিথলিয়া নিবাসী ধীবর জাতীয় ঠাকুর শম্ভুনাথ কর্তৃক প্রবৰ্ত্তিত “গুরুসত্য” মতাবলম্বী অনেকে এই জেলায় বিদ্যমান আছে। (২) পাবনা ও সাহাজাদপুরে শ্রীহট্ট জেলার অরুণাচলস্থ ঠাকুর দয়াননের প্রবর্তিত প্রাণগেীর নিতানন্দ উপাসফ অনেক শিষ্য বর্তমান আছে। (৩) বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের অন্তর্গত বাউল সম্প্রদায় ভুক্ত অনেক বৈষ্ণব বা চলিত ভাষায় বৈরাগী শ্রেণীগু জেলার অনেক স্থলেই বিদ্যমান আছে। ( 8 ) আখড়াধারী মোহান্তগণের অধীনে স্থানে স্থানে যে সাধারণ বৈষ্ণব ব| চলিত ভাষায় বাবাজি মাতাজি দেখিতে পাওয়া যায়, তাহদের সমস্তই চৈতন্ত মহাপ্রভূর প্রবর্তিত বৈষ্ণব মতাবলম্বী। (গ) সহ সঙ্গী মত—পাবনা হিমাইতপুর নিবাসী ঠাকুর ঐ অমুকুলচন্দ্র চক্রবর্তী মহাশয় কর্তৃক সৎসঙ্গ নামে যে এক নূতন মত-গুৰ্ব্বত, হইয়াছে, তাহা অনেকাংশে পশ্চিমাঞ্চলের রাধাস্বামীপস্থিগণের আচরিত উপাসন পদ্ধতির অনুরূপ। এই মতে সন্নাম, সংগুরু ও সংসঙ্গ প্রভাবে নাদ যোগদ্বারা আত্মোন্নতি জন্য ইহা সাধারণে সৎসঙ্গী নামে পরিচিত। ইহাতে পূজাৰ্চনা কিংবা জাতিভেদ কিছু নাই। হিমাইতপুরে এই আশ্রম সংস্রবে নানা আড়ম্বরপূর্ণ অর্থোন্নতি ও সমাজসংস্কারের অনুষ্ঠানও চুলিতেছে। ফলতঃ এখানে ধৰ্ম্ম অর্থাদি লাভের আশায় আকৃষ্ট হইয়া দেশস্থ ও বিদেশস্থ অনেকে এই মত গ্রহণ করিয়াছেন। সম্প্রতি এথাকার শিষ্যমণ্ডলী মধ্যে নানা মতভেদ হইয়াছে এমত অবগত হওয়া যায় । (ঘ) ব্রহ্মপ্রক্ষ মত— সৰ্ব্বপ্রথম পাবনা সহরে ১৮৫৬ অব্দে সরকারী কৰ্ম্মচারিগণের প্রযত্নে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের চেষ্টা হয়। ১৮৬৪ অব্দে দ্বিতীয় বার চেষ্ট হইলে ইহাতে অনেক বাধা বিঘ্ন উপস্থিত হয়। ১৮৭৭ অব্দে প্রায় ৮১৪ জন ব্রাহ্ম মিলিত হইয়া পাবনায় সমাজ গঠন করেন। তৎকালে পাবনার