পাতা:পাবনা জেলার ইতিহাস ( ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总8 পাবনা জেলার ইতিহাস । { ১ম অং প্রসিদ্ধ নাগরিক স্বৰ্গীয় হরিশ্চন্দ্র তলাপাত্র মহাশয় ইহার প্রধান উদ্যোগী ছিলেন । তাছাকেও সামাজিক ও ব্যবসায়িক নানরূপ বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করিতে হয় । প্রতি বুধবারে উপাসনা হইতে থাকে। ১৮৮১ ৮২ অব্দে ক্রমে পাবনার সাধাৰণ ব্রাহ্ম মাজের মন্দিরাদি নিৰ্ম্মিত হয় । বিদেী হাকিম ও কৰ্ম্মচারিগণ মিলিত হইয়া ইহার উন্নতিকল্পে ক্রমে ক্রমে সবিশেষ উদ্যোগ ও চেষ্টা করেন । এই রূপে সিরাজগঞ্জে ও ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা হয় । এষ্ট জেলায় ব্ৰহ্মধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১৫ জন মাত্র পরিলক্ষিত হয়। জেলাবাশিদিগের মধ্যে ব্ৰাহ্ম সংখ্যা কম, ভিন্ন জেলাস্থ প্রবাসী বাহ্ম সংখ্যা এখানে অধিক । ঘোড়াচর লিবাসী স্বৰ্গীয় গৌরগোবিন্দ উপাধ্যায় মহাশয় নৰবিধান ব্রাহ্ম সমাজের জনৈক আচাৰ্য্য ছিলেন । (ঙ) খ্রষ্টাল পৰ্ম্মমত— পাবনার অষ্ট্রেলিয়ান ব্যাপটিষ্ট মিসন ও সিরাজগঞ্জে ট্যাসম্যানিয়ান মিসনের প্রচারকগণ খৃষ্টধৰ্ম্ম মত প্রচার করিয়া থাকেন । এই জেলার মুসলমান ও নিম্ন শ্রেণীস্থ নানা জাতীয় হিন্দুগণ খ্ৰীষ্ট ধৰ্ম্মাবলম্বী হইয়াছে। মোট খৃষ্টান সংখ্য বৰ্ত্তমানে ৪৫৫ জন। পাবনায় স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে প্রচার জন্ত একটী জেনানা মিসন প্রতিষ্ঠিত আছে । ১৮৯• জুদে পৃfaiম স্থায়ী মিসনারী নিযুক্ত হয়েন। (চ) জৈল বেীক্রম ত – সঁড়ি, সুজানগর ও সিরাজগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে যে সমস্ত মারওয়ারী ও মাগরওয়ালগণ ব্যবসায় উপলক্ষে বাস করেন, র্তাহীদের মধ্যে অনেকে জৈন ধৰ্ম্মাবলম্বী । এই সমুদয় জৈন ধৰ্ম্মমতাবলম্বী জাতির সংথ্যা ৫৪৯ জন । বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বীর সংখ্যা এই জেলায় বেশী দেখা যায় না, ইহাদের সংখ্যা মাত্র ৪ জন। এতদ্ব্যতীত এদেশে যোগী, নাথ উপাধিক যে সমস্ত জাতি বাস করে, তাহদের দেউলপূজা ও চড়ক উৎসবাদিতে অনুষ্ঠিত প্রথাদি সমস্তই প্রাচীন বৌদ্ধাচারের নিদর্শন। সরগ্রামের ভবানী, উধুণীয়ার চৈতন্ত ভৈরবী, নরসিংহপীড়া ও চৈত্রহটির সিদ্ধেশ্বর প্রভৃতি মে সমস্ত বিগ্রহমূৰ্ত্তি বিদ্যমান আছে, তৎসমুদায়ই বৌদ্ধতান্ত্রিক যুগের আচরিত অবলোকিতেশ্বর মুত্ত্বির নিদর্শন বলিয়া প্রতিয়মান হয়। এই জেলার স্থানে স্থানে নাটাই পটটি পূদ্র এবং পর্যাণচতুর্দশী পূজাও প্রাচীন বৌদ্ধাচারের চিহ্ন ।