পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
পারসীক গল্প।

কাজি সাহেবের আদেশ তাহাদিগকে উত্তমরূপে বুঝাইয়া দিল। পরে আপনার তরবারি লইয়া যেমন তাহাদিগের মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিবার অভিপ্রায়ে উত্তোলন করিল, অমনি সেই প্রকৃত ক্রীতদাস তাহার মস্তক গৃহের ভিতর টানিয়া লইল; কিন্তু বণিক পূর্ব্ববৎ আপন মস্তক স্থিরভাবে সেই স্থানেই রাখিয়া দিলেন।

 এই অবস্থা দেখিয়া কাজি সাহেব স্পষ্টই বুঝিতে পারিলেন,— প্রকৃত ক্রীতদাসই বা কে, আর তাহার মনিবই বা কে। তখন তিনি সেই ক্রীতদাসকে উপযুক্তরূপ দণ্ড প্রদান করিয়া উহাকে বণিকের হস্তে অর্পণ করিলেন। বণিক তাহাকে লইয়া আপন দেশে প্রস্থান করিলেন।



বৃক্ষের সাক্ষ্য।


 একজন যুবক তাঁহার গ্রামের জনৈক বৃদ্ধের নিকট একশত খানি মোহর জমা রাখিয়া দেশ পর্য্যটনে বহির্গত হইয়া যান। কিছু দিবস পরে দেশ পর্য্যটন করিয়া যখন যুবক প্রত্যাগমন করিলেন, সেই সময় তিনি বৃদ্ধের নিকট গমন করিয়া তাঁহার গচ্ছিত অর্থের পুনঃ-প্রাপ্তির প্রার্থনা করেন। যুবকের কথা শুনিয়া বৃদ্ধ কহিল, “সে কি মহাশয়! আপনি আমার নিকট করে মোহর জমা করিয়া রাখিয়া গিয়াছিলেন? আার মোহরই বা আপনি কোথায় পাইবেন? আপনি সবিশেষ সাবধানের সহিত কথাবার্ত্তা কহিবেন। আমি