কর। তাহা হইলে সে নিশ্চয়ই আমার নিকট আগমন করিবে।
এই বলিয়া কাজি সাহেব তাঁহার নামাঙ্কিত মোহর সেই যুবকের হস্তে প্রদান করিলেন। যুবকও কাজির কথার আর কোনরূপ প্রতিবাদ করিতে সাহসী না হইয়া, কাজির বুদ্ধিকে গালি প্রদান করিতে করিতে সেই নামাঙ্কিত মোহর হস্তে সেই স্থান হইতে বহির্গত হইলেন।
কাজি অন্য কার্য্যে মনোনিবেশ করিলেন। বৃদ্ধ সেই স্থানে বসিয়া রহিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে কাজি সাহেব সেই বৃদ্ধের দিকে তাকাইয়া কহিলেন, “এতক্ষণ যুবক সেই গাছের নিকট উপস্থিত হইতে পারিয়াছে কি?” উত্তরে বৃদ্ধ কহিল, “না মহাশয়! এখন পর্য্যন্ত সে সেই বৃক্ষের নিকট উপস্থিত হইতে পারে নাই।” এই কথা শুনিয়া কাজি সাহের পুনরায় আপন কার্য্যে মনোযোগ দিলেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পরে যুবক নিতান্ত দুঃখিত অন্তঃকরণে প্রত্যাগমন করিয়া কাজির নামাঙ্কিত মোহর তাঁহার সম্মুখে স্থাপিত করিয়া কহিল, “আমি সেই বৃক্ষকে আপনার এই মোহর দেখাইয়া আপনার আদেশ তাহাকে বার বার জ্ঞাপন করিলাম; কিন্তু কিছুতেই সে আমার কথা শুনিল না, বা কোনরূপ উত্তরও প্রদান করিল না। এ পর্য্যন্ত আমি আর কখনও শুনি নাই যে, বৃক্ষ কথা কহিতে পারে, বা স্থানান্তরে গমন করিতে পারে।”
কাজি। কে তোমাকে কহিল যে, বৃক্ষ আমার আদেশ প্রতিপালন করে নাই। আমার নিকট আসিয়া সাক্ষ্য