পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
পারসীক গল্প।

যাইবে, তাহা নিশ্চয়; মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া ধীবর সেই মৎস্যটাকে জীবিতাবস্থায় রাজার সমীপে লইয়া উপস্থিত করিল। ধীবরের মনে প্রতীতি জন্মিয়াছিল যে, রাজা এই মৎস্যটীকে দর্শন করিলে নিতান্ত সন্তুষ্ট হইবেন, এবং তাহাকে উপযুক্তরূপ পারিতোষিক প্রদান করিবেন।


 মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া ধীবর মৎস্যটাকে লইয়া রাজদরবারে উপস্থিত হইল। সেই সময় রাজা দরবারে উপস্থিত ছিলেন না। মন্ত্রী মহাশয় সেই মৎস্যটাকে দেখিয়া নিতান্ত সন্তুষ্ট হইলেন, এবং ধীবরকে কহিলেন, “তোমার এই মৎস্য দেখিয়া রাজা যে সন্তুষ্ট হইয়া ইহার নিমিত্ত তোমাকে পারিতোষিক প্রদান করিবেন, তাহার স্থিরতা কি? পারিতোষিক বলিয়া রাজার নিকট হইতে আমি তোমাকে কিছু দেওয়াইয়া দিতে পারি। কিন্তু যাহা তুমি প্রাপ্ত হইবে, তাহার অর্দ্ধেক যদি আমাকে প্রদান করিতে সম্মত হও, তাহা হইলে তোমার নিমিত্ত আমি চেষ্টা দেখিতে পারি।”

 মন্ত্রীর প্রস্তাবে ধীবর কোনরূপেই সম্মত হইল না। বস্তুতঃ সেই সময় রাজা আসিয়া দরবারে প্রবেশ করিলেন, এবং মৎস্যটাকে দেখিয়া তিনি বিশেষরূপ সন্তুষ্ট হইলেন; কিন্তু কাহাকেও কিছু জিজ্ঞাসা না করিয়া সেই মৎস্য আনিবার পারিতোষিক স্বরূপ সেই ধীবরকে একশত টাকা প্রদান করিতে আদেশ করিলেন।

 মন্ত্রী দেখিলেন যে, ধীবর তাহাকে একটা মাত্র পয়সা না দিয়া রাজদরবার হইতে অনায়াসে একশত টাকা লইয়া