পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৎস্যের ক্লীবত্ব।
৩৩

যাইবার বন্দোবত্ত করিয়াছে। এই ব্যাপার দেখিয়া মন্ত্রী মহাশয় রাজাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “মহারাজ! একটী মৎস্যের নিমিত্ত একবারে একশত টাকা প্রদান করা নিতান্ত অধিক হইতেছে। কিন্তু যখন মহারাজ একশত টাকা প্রদান করিতে আদেশ করিয়াছেন, তখন উহাকে সেই মুদ্রা নিশ্চয়ই প্রদান করিতে হইবে। পরন্তু আমার একটা বিশেষ অনুরোধ এই যে, সেই একশত টাকা উহাকে এখন প্রদান না করিয়া, এইরূপ প্রকারের আর একটী মৎস্য আনয়ন করিলে, উহাকে সেই টাকা প্রদান করা হয়। আপনি ওই ধীবরকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করুন, এই মৎস্যটী স্ত্রী, না পুরুষ। কারণ, ধীবরেরা মৎস্য দেখিলেই তাহা অনায়াসে বলিতে পারিবে। আপনার কথার উত্তরে যদি সে ইহাকে স্ত্রী কহে, তাহা হইলে ইহার জোড়া একটী পুরুষ আনিয়া দিতে আজ্ঞা করুন। আর যদি কহে যে, ইহা পুরুষ, তাহা হইলে একটী স্ত্রী মৎস্য আনিয়া না দিলে ইহার জোড়া হইবে না। এরূপ অবস্থায় অপর মৎস্যটা আনয়ন না করিলে উহার টাকা প্রাপ্ত হইতে পারিবে না।”

 মন্ত্রীর কথা নিতান্ত অযৌক্তিক নহে বিবেচনা করিয়া, রাজা ধীবরকে মন্ত্রীর ইচ্ছা জ্ঞাপন করিলেন। ধীবর বুঝিতে পারিল যে, মন্ত্রী মহাশয়কে অর্ধেক অংশ প্রদান করিতে অসম্মত হওয়ায় তিনি এই গোলযোগ ঘটাইলেন।

 এইরূপ অবস্থায় পড়িয়া, ধীবর রাজা মহাশয়কে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “ধর্ম্মাবতার! বড়ই দুঃখের সহিত আমাকে