পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনকে রাখব তোমার যায়গায় ? ও যদি পারে কেন রাখবে না ? আমার সঙ্গে কিন্তু নবীনের কথা বন্ধ ! সেটা শুনেই তো জিজ্ঞাসা করতে এলাম কি করব । নবীন নিজেই আমাকে বললে তুমি নাকি হঠাৎ কথা বন্ধ করে দিয়েছ। আল্পনা বলে, আপনাকেও বলেছে ? নবীন তর্ক করতে করতে দাদার হল রাগ-বাস, কথা বন্ধ ! আমি যত বলি, দাদা ওরকম নয়, দাদা কখনো অন্যায়: করে না-কে কার কথা শোনে । ওর ওই এক কথা-তর্ক চলছিল, তর্ক চালাতে চালাতে হঠাৎ রাগ করে দাদা কথা বন্ধ করে দিয়েছে । মায়া একটু বিস্ময়ের সঙ্গেই আল্পনার দিকে তাকায় । সুনীলের সামনে এই ভঙ্গিতে এরকম সুরে কথা বলা আল্পনার পক্ষে নতুন বটে। গৌরী মেয়ের কথাগুলি শোনে নি। কিন্তু কথার সুরাটা কানে গিয়েছিল। ছেলের জন্য তরকারী এনে সে বলে, আমিই তো ওকে দিচ্ছিলাম, তুই জেগে বসে রয়েছিস কেন ? 疆 মায়াদি এসেছে তাই । 曹 সুনীল মায়ার মুখের দিকে চেয়ে হাসিমুখে বলে, শুনলে ? নবীন যেমন মিথ্যা বলে, আল্পনারও তেমনি মিথ্যা আটকায় না । মিথ্যা বলি । আল্পনা ফোস করে ওঠে । এখুনি বললি। মায় এসেছে বলে তুই জেগে বসে আছিস, এটা মিছে कथं न ? 酮 আল্পনা জোর দিয়ে বলে, না। ওটা কথার কথা, মার কথার একটা ভাসা ভাসা জবাব । আমি কেন জেগে আছি সেটা বলতে পারব না। কিন্তু মার কথার জবাবে কিছু বলতে হবে তো ? আমি তাই বললাম মায়াদি এসেছে বলে জেগে আছি । এটা শুধুমার মান রাখা, মিছে কথা বলা নয়। চুপ করে থাকা আর একথা বলার মধ্যে আর কোন তফাৎ নেই। তোমার হিসেব যদি সংসারে চলত দাদা N O R