পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমাদের এনগেজমেন্ট ? নবীন প্ৰোপোজ করেছিল, আমি রাজী হয়েছি । আমাদের জানাও নি কেন ? নবীন বাবাকে জানাবে বলেছিল। বাবাকে জানিয়েছে ? না, জানাতে আসবে। সুনীল গভীর মুখে বলে, নবীন তাহলে জেনে শুনে ইচ্ছে করেই এই নাম দিয়ে কাগজটা বার করেছে ? ওর ভয় ছিল আমি পাছে অন্য কোথাও তোর বিয়ে ঠিক করি, ওর সম্পর্কে আপত্তি করি, তাই আঁটাঘাট বেঁধে নেমেছে? ওর মাথায় এত চালাকি বুদ্ধি খেলে, তা তো জানতাম না ! আল্পনা চুপ করে থাকে। তোর সঙ্গেও পরামর্শ করেছে নিশ্চয় ? আমি বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম তুমি যদি অমত কর, এভাবে কাগজ বার করবার পরেও করবে । সুনীল বলে, আমার আমন্ত নেই । চাকরী করছে, তোর পছন্দ হয়েছে, আমি অমত করব কেন ? আমাঝ বরং অনেক ঝনঝাট বেচে গেল। কিন্তু নবীন যে এদিকে প্ৰতিজ্ঞা করেছে, আমার সঙ্গে জীবনে কথা বলবে না ? আল্পনার মুখ কঠিন দেখায়। এ প্ৰতিজ্ঞা ভাঙ্গতে হবে। আমি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছি, নিজে এসে তোমার সঙ্গে যেচে কথা না কইলে, আমার সঙ্গেও কথা কয়ে কাজ নেই। প্ৰতিজ্ঞ ভঙ্গ করলে তুমি কি মনে করবে, এটাই হয়েছে ওর আসল মুস্কিল। নিজের প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গতে নিজেই লজ্জা পাচ্ছে। সে তো পাওয়াই উচিত । মোটেই উচিত নয়। মুখ দিয়ে একটা কথা বেরিয়ে গেছে বলেই সেটা সারা জীবন সত্য করে আঁকড়ে থাকতে হবে, এটা একওঁয়েমি, বােকামি। অন্য লোকের SV)