পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনীলের কাছে গোপন করার কিছু ছিল না, একটা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পরস্পরের NSN5 QRco Ga | তারপর উঠে দাড়িয়ে যেন সভায় বক্তৃতা দিচ্ছে এমনিভাবে বিভূতি তার বক্তব্য জানায়। এভাবে বলার মানে সুনীল অবশ্য বুঝতে পারে।. বিভূতি তার বক্তব্য কেবল তাকেই শোনাচ্ছে না, সকলের কাছে পেশ করছে। কারো যদি কিছু• বলবার থাকে বলবে। বিভূতি বলে, লোকসানটা তারা সবাই ভাগাভাগি করে নিতে রাজী আছে। মাসিক খরচের একটা হিসাব যদি তাদের দেওয়া হয়, এলোমোলো মাথাভারি বেহিসাবী খরচ যদি না হয়, সহকারী সম্পাদক থেকে পিয়ন পৰ্য্যন্ত তারা সকলে মাইনের অনুপাতে মাসিক লোকসানটা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবে। বিভূতি এই বলে তার বক্তব্য শেষ করে : আপনারা বোধহয় বুঝতে পারছেন অন্য কাগজে ভাল চাকরী পাব জেনেও কেন আমরা এ কাগজে লেগে থাকতে চাই ? আজি এই যে বৈঠক ডাকলেন, খোলাখুলিভাবে জানালেন কাগজ চালাতে লোকসান দিতে হচ্ছে, অন্য কাগজে এটা করত না, সে কাগজে ভাত্ততা দেওয়া হত যে কাগজের অবস্থা খুব ভাল, তবে বাবু বাইরে যাবার আগে চেক সই করে যান নি, তাই এ মাসের মাইনেটা সময় মত পােচ্ছ না। বাবুর সই-করা চেকটা ডাকে আসছে, এলেই তোমরা মাইনে পাবে। সুনীল বলে, কাগজটা আপনারা যে নিজের ভাবেন আপনারা তারই আরেকটা পরিচয় দিলেন। লোকসান ভাগ করে দিলে খানিকটা সুবিধা হতে পারে। কিন্তু কত আর লোকসান ভাগ করে নেবেন নিজেরা ? বিনা মাইনেতে খাটলেও সামাল দেওয়া যাবে না, আয় বাড়াতেই হবে। সকলে চুপ করে থাকে। স্বনীল বলে, আরেকটা কথা বলি। কিছুটা লোকসান আপনার আজ ভাগাভাগি করে নিলে, কোনদিন লাভ হলে তার ভাগও আপনার

  • igदन ।

3)