পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঘোরের চাকরীটি হাতে রেখে আর লাভ নেই। কাগজের সঙ্গে যেভাবে জড়িয়ে গেছে। সুনীল, তাতে আর রেহাই পাবার কথা সে ভাবতেও পারে না। রেহাই পাওয়াটাই এখন দাড়িয়ে গেছে পরম দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। কাগজ আর বন্ধ করা যাবে না । কাগজটা যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেই চেষ্টাতেই এবার তার জীবনপাত করতে হবে । এদিকে রয়েছে সংসার চালাবার দায় । কাগজ থেকে সে যে টাকা নেয় তাতে সংসার খরচ চালানো সম্ভব নয়। অঘোরের আপিসে সে যত টাকা বেতন পেত। কাগজ থেকে তার অবশ্য তত টাকাই নেওয়ার কথা কিন্তু এখন সে তো আর চাকরী করে না কাগজে-সে। এখন কাগজের লাভ লোকসানের ভাগীদার । বেতন নিয়ে যারা খাটছে তারা পৰ্য্যন্ত যখন কম টাকায় কাজ চালিয়ে যেতে প্ৰস্তুত, বাড়ীর জন্য প্রয়োজন বলেই কোন মুখে সে বেশী করে টাকা নেবে ? ● আনিলকে সে বলে, তোমার তো পড়ায় মন নেই, গায়ের জোরে টেনে টেনে পড়ছ। অনিল স্বীকার করে।—উৎসাহ পাই না। পড়ে কি লাভ হবে তাই ভাবি । চাকরীর যা বাজার ! তা হলে কাগজেই কাজে লেগে যাও । নন্দা শুনে হেসে বলে, স্বজন-শোষণ নীতি গ্ৰহণ করলেন নাকি ? সুনীল বলে, উপায় কি ? নিজের ভাইকে যত কম টাকায় খাটাতে পারব अ9क 6डों डों *ांद न । নন্দা বলে, আমিও তাই বলছি । অন্য লোকে দেশের লোকের টাকায় করে স্বজনপোষণ, আপনি নিজের কাগজে আরম্ভ করলেন ভাইকে শোষণ করা। সুনীল বলে, তাও নয়। ও অনর্থক আমাকে শোষণ করছিল, পড়ায় মন নেই, v(ጽ Sto