পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠেকানো দেওয়ার জন্য। লম্বা মেয়াদে টাকা পেলেই ওর টাকাটা ফেলে দেব। লম্বা মেয়াদে টাকা পাওয়াটাই এখন সমস্যা । প্ৰষ্ঠোৎ বলে, পাওয়া যাবে মনে হয়। খুব নাম হয়েছে কাগজটার। সুনীল বলে, ওটাই তো আমাদের আসল মূলধন। এতদিন ওটুই বাড়াবার চেষ্টা করেছি। আমি জানতাম ওই মূলধনটি আগে বাড়িয়ে না নিলে টাকার মূলধনও যোগাড় করা কঠিন কাজ হবে। মায়া একদিন সন্ধ্যার পর একটু রাত করেই কাগজের আপিস ঘুরে দেখে rig কর্মব্যস্ত মানুষগুলির মধ্যে সুনীলের কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করে সে আজ অনুভব করে, সুনীল কেন সেদিন অতবড একটা গুরুতর কথা তুলেও একেবারে চুপ হয়ে গেছে । অন্য সকলে কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সুনীল যেন একেবারে মশগুল হয়ে ডুবে গিয়েছে তার কাজের মধ্যে। তার কাছে যেন ছোট কাজ বড় কাজ নেই, সাধারণ সংবাদ ও বিশেষ সংবাদ বা সম্পাদকীয় প্ৰবন্ধের পার্থক্য নেই গুরুত্বের হিসাবে, তার কাগঙ্গে যা ছাপা হবে তার প্রতিটি লাইন তার কাছে মহা মূল্যবান। ব্যক্তিগত জীবনের সুখ দুঃখ আশা আমন্দ সব কিছু তার আশ্রয় করেছে। কাগজটিকে । কাগজের চিন্তার তলে তার মধ্যে চাপা পড়ে গেছে মায়ার চিন্তা । , বিভূতি, শিশির আর প্রন্থোতের সঙ্গে সুনীল পরদিনের সম্পাদকীয় নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করে আর মায়া তাদের কথা শুনতে শুনতে সুনীলের মুখের দিকে চেয়ে ভাবে, সত্যই কি মানুষটার হৃদয় নেই ? কিন্তু যার হৃদয় নেই একটা কাগজকে সে এমনভাবে মনপ্ৰাণ দিয়ে ভালবাসে केि कब्र ? আলোচনা শেষ করে বিভূতিরা নিজের নিজের আসনে ফিরে চলে গেলে মায়া বলে, এলাম যখন, আপনাদের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে যাই। সুনীল বলে, পয়সা লাগবে কিন্তু । R