পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। তা হতে পারে না। অঘোর তা হতে দিতে পায়ে না । সুনীলের আদর্শবাদী প্ৰতিভাও তারই সম্পত্তি! নিজের আপিসে দায়িত্বপূর্ণ চাকরী দিয়ে সে-ই সাহায্য করেছে বঁচিয়ে রেখেছে তার এই প্ৰতিভাকে। একমাত্র তারই অধিকার আছে তার প্রতিভার বিকশিত ফুলটিকে ফলটিকে st করার সুনীলের মন্তব্যে অঘোর রাগে না দেখে মায়া তাই অবাক দুয়ে যায়! অঘোর মুখ গষ্ঠীর করে বলে, এটা তুমি অত্যন্ত অন্যায় কথা বললে, আমাকে অপমান করার জন্য বললে। আমি কি কাগজটা বন্ধ করতে চাই ? না, এমনি বোকা-হাবা মানুষ আমি যে সে চেষ্টা করতে গিয়ে অন্যের হাতে বাদর নাচব ? সুনীল বলে, কাগজটা আপনি কিনে নিয়ে কণ্টেল করতে চান । আপনি অন্যায়ভাবে সে চেষ্টা করছেন-আমাদের কাবু করে বাগে আনতে চাইছেন। অঘোর টেবিলে চাপড় মেরে বলে, তবেই দ্যাখে তোমাদের আদর্শের মধ্যে কত গলদ । দরকার হলে তোমরা আমাকে খোচা দেবে, আমি টাকা দিতে চাইলেও আমাকে ডিঙিয়ে হেমন্তের কাছে টাকা ধার করবে, আর আমি ব্যবসায়ী মানুষ, আমার মেথডে কাগজটা কিনবার চেষ্টা করলে তোমরা বলবে সেটা আমার অন্যায় ! তোমরা আমায় কাগজটা বেচাবে না, আমি কাগজটা কিনবার জন্য ফন্দি ফিকির খাটাবো, এতো ক্লিন কম্পিটিশন ! কেউ যাতে তোমাদের টাকা ধার মা দেয়, হেমন্ত যাতে টাকার জন্য চাপ দেয়-সে চেষ্টা করার মরাল রাইট আমার পুরোমাত্রায় আছে! এবার সুনীল একটু হাসে। আর তর্ক করে না। মায়া এবার মুখ খোলে, বলে, আমার একটা নালিশ আছে অঘোরবাবু। নালিশ ? eo