পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরকার যে ভেতর থেকে তাগিদ। আসছে তোমার যুক্তিটা চোেখ কান বুজে মেনে নিই । মেনে নাও না ? সুনীল এবার গম্ভীর হয়ে যায় । কিন্তু ভাববার কথাও আছে! অনেক গুরুতর দিক ভাববার ਝ| অন্যের যে টাকা ধার দেবে, তারা দেবে লাভের আশায়, অনেক কঠোব সর্ত থাকবে। কাগজের নীতিনিয়ম কণ্টেল না করুক, কাগজ চালানোর ব্যবসার দিকটা খানিক কণ্টেল করবে-আমাদের দোষে তাব টাকা না মারা যায়। আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা লোকের বুঝতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু তোমার কাছে টাকা নিলে সুনীল থেমে যায় । বিভা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। সুনীল, বলে, বুঝতে পারিছ না ? খবরটা অজানা থাকবে না, একটা খবরের কাগজের ব্যাপার। আমি নিজে নিলে হয় তো গোপন রাখা যেত। লোকে শুনেই জিজ্ঞাসা করবে বিভা কেন এতগুলি টাকা দেয় ? চেনা তো এক সুনীলবাবুর সঙ্গে, তার কাগজটার জন্য। ওর অন্ত মাথাব্যাথা কেন ? দরদটা কাগজের জন্য না লোকটাব জন্য ? কিছু নিশ্চয় তাহলে আছে দুজনের মধ্যে ! বিভা খানিকক্ষণ ঠোঁট কামড়ে থাকে। তাই বটে ! কেবল আমার নয়, তোমারও বদনাম হবে। সুনীল হাসিমুখে বলে, তোমার একার হলে বুঝি উড়িয়ে দেওয়া যেত ? টাকা দিয়ে তুমি বদনাম কিনবে সেটা তুচ্ছ কথা নাকি ? যাওয়ার আগে সুনীল বলে, টাকাটা নেব না বলি নি কিন্তু। ভাববার জন্য সময় নিচ্ছি। কেবল বদনামের দিকটা নয়। আরও ভাববার দিক আছে । যেমন ধরে, ঠিক এই সময় কাগজটা বঁাচাতে তুমি টাকা দিলে অপোরিবাবু ক্ষেপে যাবেন। মেয়েকে মেরে ফেলতে না পারলেও অশান্তির সীমা রাখবেন। SS