পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন ছাত্রী আছে দুটি । মায়ার বাবা দীনেশ যখন চালাত তখন ছাত্রী হত না। সে স্থায়ীভাবে বিছানা নিলে মায়া স্কুলটি চালাবার দায়িত্ব নেবার পর দু'তিনটি ছাত্রী শিখতে আসে। সাতটা থেকে ন’টা পৰ্য্যন্ত ক্লাস । সুনীল আটটা পৰ্য্যন্ত মায়ার সঙ্গে এক ঘণ্টা শেখায়। বাকী একঘণ্টা ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই প্র্যাকটিস করে। মায়া একাই তখন ক্লাসটা সামলাতে পারে । দুপুরে নবীনের সঙ্গে একচোট তর্ক হয়েছে, ক্লাস নিয়ে বাড়ী ফিরে নবীনকে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে দেখে সুনীল ভাবে, ছেলেটা আবার তর্কের জের Èान्टङ शांखेिद्र झुल नाकि ? বাড়ীতে ঘরের টানাটানি । বৈঠকখানা নিয়ে তিনখানা ঘরে এতগুলি লোকের কুলোতে চায় না । বিয়ে না করলেও ছোট ঘরখানা দখল করেছে। সুনীল একা । সুনীল পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে সারাদিন তার খাটুনি, বাড়ীতেও তাকে পড়াশোনা করতে হয়, নিজস্ব একখানা ঘর না হলে তার চলবে না । হেসে বলেছে, ধরে নাও বিয়ে করেছি । তখন তো একটা ঘর ছেড়ে দিতেই হােত আমাকে ! কিছু না বলে সে ঘরটা দখল করে থাকলে কেউ কিছু ভাবত না । সাংসারিক নিয়মেই একটা ঘর দখল করার পুরো অধিকার তার আছে--অন্যদের যতই অসুবিধা (३ीक । কিন্তু অধিকার খাটাবার বদলে এভাবে যুক্তি দিয়ে নিজের স্বার্থপরতাকে সমর্থন করতে চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে সকলেই । কিন্তু সেই সঙ্গে সুনীল একথাও বলে দিয়েছে যে সে যতক্ষণ বাড়ী থাকবে না, তার ঘরটিা সকলে ব্যবহার করতে পারবে । আগে সকালে নিজের ঘরে লেখাপড়া করত সুনীল, তাই তার নির্দেশ ছিল যে সন্ধ্যার পর অনিল আর আল্পনা তার ঘরে পড়বে, পুলিন আর কল্পনা পড়বে বৈঠকখানায়। VO