পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার একটা প্ৰবন্ধ টাইপ করছি। ও, হঁ্যা । বিভা বলেছিল, রবীন্দ্ৰকাব্য নিয়ে তোমার একটা প্ৰবন্ধ বেরিয়েছে। খুব নাকি তর্কাতকিও চলেছে প্ৰবন্ধটা নিয়ে। নতুন কথা বললে তর্ক উঠবেই। এ প্ৰবন্ধটা কি নিয়ে লিগিছ ? আধুনিক কবিতা সম্পর্কে । আধুনিক কবিতাও পড় নাকি তুমি ? যাক, তোমায় ডিষ্টািৰ্ব করব না। সময় পেলে একদিন যেও। शांद । অঘোর ধীরে ধীরে বেরিয়ে যায় । ব্যস পঞ্চাশ পেরিয়েছে। চুলে কিছুটা পাক ধরেছে। মানুষটার ধীর শান্ত এবং প্ৰায় নির্বিবকার ভাব দেখে কল্পনা করাও কঠিন যে কতখানি কঠোর আর নিষ্ঠুর সে হতে পারে দরকার পড়লেই । শাস্তি পাওয়ার যোগ্য অপরাধ করে এ আপিসের কেউ ক্ষমা বা অল্পে রেহাই পেয়েছে এরকম একটি দৃষ্টান্তও কেউ স্মরণ করতে পারে না । অপরাধ কেন, তার কাছে অনিচ্ছাকৃত ভুলেরও ক্ষমা নেই, ভুলের ফলটা অবশ্য যদি তার পক্ষে কোনদিক দিয়ে ক্ষতিকর হয়। মানুষের ভুল করার অধিকার সে স্বীকার করে না। তার মতে, ভুল হয় অবহেলার জন্য। যে ভুলের জন্য বিশেষ কিছু আসে যায় না, শুধরে নিলেই চলে, সে ভুল সে উদার ভাবে ক্ষমা করে। সুনীল ছাড়া কেউ জানে না যে তার বিদ্যাবুদ্ধিকে কিম্বা মেয়ের অনুরোধকে খাতির করে অঘোর তাকে চাকরী দেয় নি, কঠোর সততা বলে জিনিষটা তার চরিত্রের স্বাভাবিক গুণ এটা টের পেয়ে তাকে চাকরী দিয়েছে। অঘোরের সৎ-অসতের বিচারের মাপকাঠি, লাভ আর লোকসান। তার তাই এরকম দু’একজন লোকের প্রয়োজন আছে যাদের সম্পর্কে এক বিষয়ে সে নিশ্চিন্ত sه سb