পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থাকতে পারবে যে তার নিজেরও সাধ্য হবে না। ওদের দিয়ে মিথ্যা বলায় চুরিচামারি ছলনা করায় বা কারো বিশ্বাস ভাঙ্গায়। সুনীলকে কাজ দিয়ে শুধু একবার বলে দিলেই হল এটা গোপনীয়। গুরুতর বিষয়টা যে গোপনই থাকবে সে বিষয়ে তারপর আর মনের মধ্যে এতটুকু খুতখুতানি রাখবারও দরকার হয় না । সুনীলের মত লোক না রাখলে কাজটা তার নিজেরণ করা ছাড়া উপায় থাকে না । অবশ্য মূল্য দিতে হয়। সুনীল তাকে খাতির করে না, ভয়ও করে না। সে যে তার চাকরী রাখার, চাকরী খাবার মালিক এটা যেন গ্রাহের মধ্যে আনে नों श्रौब्ल। তাছাড়াও আরেকটা অসুবিধা আছে। ব্যবসার নীতিতে না হলেও সাধারণ নীতির বিচারে যেটা দুনীতির পর্য্যায়ে পড়ে, সুনীলকে দিয়ে সে কাজ করানো যায় না । অথচ ব্যবসা করতে গেলে ওরকম বিচারও চলে না । এ দোষটা যদি না থাকত সুনীলের, তার ব্যবসাগত স্বার্থের বেলাতে নীতিরোধটা ঢ়িল দিতে পারত, আরও কত উচু আসনে অঘোর তাকে নিজেই তুলে বসােন্ত ! কিন্তু অঘোর জানে তা হয় না । যে তাকে খাতির করবে ভয় করবে, পয়সার জন্য নিজের ন্যায় অন্যায়ের বিচার শিকেয় তুলতে পারবে, তার সততা কিছুতেই টেকসই হবে না। সুনীলের মত। তার বিশ্বাস রাখার বেলা লোহার মত শক্ত হবে। আর অন্যদিকে হবে তার মনের মত-এরকম মানুষ সে পাচ্ছে কোথায় ? অগত্যা সুনীলকেই রাখতে হয় তার নম্রতার অভাপটা মেনে নিয়ে। সুনীল বাড়ী ফিরলে আল্পনা মুখ ভার করে বলে, তুমি নাকি বিনা দোষে নবীনের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছ ? "b"ט