উত্তরাভিমুখে ধাবিত হইয়াছিল, সুতরং স্কন্দগুপ্ত মথুরায় আসিয়া নগর রক্ষা করিবার উপায় উদ্ভাবন করিতে লাগিলেন। গোবিন্দগুপ্ত অল্পসংখ্যক সৈন্য লইয়া মথুরায় আসিয়া স্কন্দগুপ্তের সহিত মিলিত হইলেন। খুল্লতাত ভ্রাতুষ্পুত্র একত্র হইয়া হূণগণের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন।
নব-পরিণীতা বালিকা মহিষীকে লইয়া কুমারগুপ্ত পাটলিপুত্র হইতে মহোদয়ে আসিলেন। পাটলিপুত্রের প্রাসাদবাসিগণের বাক্যযন্ত্রণা তাঁহার মহিষীর পক্ষে অসহ্য হইয়া উঠিয়াছিল; গঙ্গাতীরবর্ত্তী কান্যকুব্জের প্রাচীন প্রাসাদে আসিয়া বর্ষীয়ান সম্রাট শান্তি লাভ করিলেন। হূণগণ ধীরে ধীরে মথুরার দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। স্কন্দগুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্তকে সাহায্য করিবার জন্য আর কেহই চেষ্টা করিল না। শকপ্লাবনের ন্যায় হূণপ্লাবন আসিয়া প্রাচীন সৌরসেন রাজ্য ভাসাইয়া লইয়া গেল, নানাবিধ প্রাচীন কারুকার্য্যশোভিত রক্তবর্ণ প্রস্তরনির্ম্মিত মথুরার নগর প্রাকার হূণগণের আক্রমণ রোধ করিতে সমর্থ হইল না। গোবিন্দগুপ্ত ও স্কন্দগুপ্ত সন্তরণে যমুনা পার হইয়া প্রাণরক্ষা করিলেন। ভিখারীর ন্যায় চীর পরিধান করিয়া কুমার ও মহারাজপুত্ত্র, মহোদয়নগরীর তোরণে উপস্থিত হইলেন। দৌবারিকগণ তাঁহাদিগকে দেখিয়া চিনিতে পারিল না বা সম্ভ্রম প্রদর্শন করিল না। তাঁহারা নগ্নপদে সুদীর্ঘ রাজবর্ত্মগুলি অতিক্রম করিয়া জাহ্ণবীতীরে রাজপ্রাসাদে উপস্থিত হইলেন। সামান্য ভিক্ষুক জ্ঞানে প্রতীহারিগণ তাঁহাদিগকে দূর করিয়া দিতেছিল; রোষে গোবিন্দগুপ্ত অসিমুক্ত করিলেন। সমুদ্রগুপ্তের নামাঙ্কিত তরবারি দেখিবামাত্র প্রতীহারগণ নতশির হইল, তাহারা সিপ্রা ও
৯৫