পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগে না। এখানে নিজের মনে কত আরামে ছিল,-ভিড় নেই, বন্ধটি নেই, সব বিষয়ে স্বাধীন। তা যদি ভাল না লাগে, চলুক। তবে যেখানে থাকতে ভাল লাগবে সেইখানে- আমার কি ? আমি কাজের মানুষ, কাজ নিয়ে থাকি নিজের । এ স্ববুদ্ধি তোমার আগে হল না কেন নন্দ ? 驅 নন্দ হঠাৎ এ কথার জবাব দিতে পারিল না । তারপর ছেলে মানুষের মতো বলিল, আগে কি করে জানিব যে পালিয়ে যাবে ? বেশ তো হাসিখুশি দেখতাম । * শশী একবার ভাবিল, নন্দকে বুঝাইয়া এ মতলব ত্যাগ করিতে বলে । জলাত বছর ধরিয়া, যে অন্যায়। সে করিয়া আসিয়াছে, আজি অসময়ে কেন তার প্ৰতিকারের চেষ্টা ? “চেষ্টা সফল হইবার সম্ভাবনাও নাই। ঘোমটা টানিয়া বিন্দু আজ এতকাল পরে শাশুড়ী ননদ সতীনের সংসারে নিরীহ বাধুটি সাজিতে পরিবে কেন ? তা যদি পারিত, গাওদিয়ার উত্তেজনাহীন। সহজ জীবন তাহার অসহ্য হইয়া উঠিত না । শেষ পৰ্যন্ত কিছু না বলাই শশী ভাল মনে কৱিল । নন্দর সঙ্গে এ अceधन कदू bcव न ।

  • ్య গতবার কুসুমদের সঙ্গে করিয়া যে হোটেলে উঠিয়াছিল এবারও শশী সেইখানে গেল। কুমুদের দেখা পাইবার আশায় মতি যে এখানে আগ্ৰহে ব্যাকুল হুইয়া উঠিয়াছিল। সে কথা শশীর মনে আছে। মতি ? আতটুকু মেয়ে মতি ? কি মন্ত্ৰই কুমুদ জানে, বেহিসাবী নিষ্ঠুর যাযাবর কুমুদ !
  • পরদিন শশী কুমুদের খোজ করিল। একটা থিয়েটারের সাজপোশাকের দোকানে বিনোদিনী অপেরার ঠিকানা পাওয়া গেল, সরস্বতী অপেরার जकार्न কেহ শশীকে দিতে পারিল না। কুমুদ বলিয়াছিল, বিনোদিনী অপেরার সঙ্গে তাহার সম্পর্ক চুকিয়াছে, ওখানে খোজ করিয়া লাভ হইবে কি না। সন্দেহ । তবু শশী শেষ বেলায় চিৎপুরে একটা বাড়ীর দোতলায় অধিকারীর जcशr cपथ कवि !

সন্তা-ঘুম-ভাঙা অধিকাৰী বলিল, কুমুদ ? অভ্রান মাস থেকে সে শালাকে আমরাও খুঁজছি মশায়। ভাওতা দিয়ে তিন মাসের মাইনে আগাম নিয়ে লরেছে। দু-দিন পরে শ্ৰীপুরের রাজবাড়িতে বায়না ছিল, একেবারে ডুবিয়ে দিয়ে গেছে মশায়। অধিকারী আরক্ত চোখে কটমট করিয়া শশীর দিকে চাহিল, মশায়ের কি সর্বনাশটা করেছে শুনতে পাই ? SSV