পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শশী বলিল, তুমি কি পাগল শ্ৰীনাথ ? কথার ছলে কি বলেছেন না। বলেছেন- ళీ শ্ৰীনশ্ব-খলিল, কথার ছলেই তো বলবেন ছোটবাবু, নইলে নিজে কি রটিয়ে বেড়াবেন! ਚ এই কথাটি আপনি বলেন• ছোটবাবু, নিজের মুখে cदङ উচ্চারণ করেছেন, কি রথের দিন দেহ রাখবেন ? শশী বলিল, বলেছেন রক্ট, কিন্তু কি জানহায় সর্বোনাশ । বলিয়া শ্ৰীনাথ আকুল হইয়া ছুটিয়া গেল । ব্যাপারটা যে এত বিরাট হইয়া উঠিবে তখনো শশী কল্পনা করে নাই। নতুবা শ্ৰীনাথকে ডাকিয়া সে বলিয়া দিত যে রথের দিন যাদব দেহ রাখিবেন বলিয়াছেন বটে। কিন্তু সে কোনও এক রথের দিন, আগামী রথ নয় । হাসপাতালে ভরতি করিয়া দিবার জন্য একটি কঠিন অপারেশন রোগীর সঙ্গে শশী বাজিতপুরে যাইতেছিল। রোগীটির অবস্থা বড় শোচনীয়। হাসপাতালে লইয়া যাওয়ার ব্যবস্থা দেওয়া উচিত হইয়াছে কি না, পথেই যদি শেষ হইয়া যায়। তবে বড়ই দুঃখের কথা হইবে, এই সৰ ভাবিতে ভাবিতে শুশী অন্যমনস্ক হইয়া গিয়াছিল । বাজিতপুরের সরকারী ডাক্তারের সঙ্গে শশীর ঘনিষ্ঠত হইয়াছিল । সম্প্রতি তিনি বদলী হইয়া যাইতেছেন। শশীকে সেদিন তিনি ফিরিতে দিলেন না। পরদিন গ্রামে ফিরিয়া কায়েতপাড়ার পথে লোকের ভিড় দেখিয়া শশী অবাক হুইল্লা গেল। যাদবের ভাঙা জীর্ণ বাড়ির সম্মুখে অনেক লোক জমিয়াছে ! যাদব বাহিরে আসিয়া বসিয়াছেন, পদধূলির জন্য সকলে কাড়াকড়ি কজিতেছে। সজল কণ্ঠে শ্ৰীনাথ করিতেছে হায় হ্যায় । একজন শশীকে বলিল,৬ সামনের রথের দিন পণ্ডিত মশায় দেহ রাখবেন ছোটবাবু। সামনের রথের দিন ? কে বললে এ কথা ? শ্ৰীমুখে নিজেই বলেছেন। দূৱ-গাঁ থেকে লোক আসছে ছোটবাবু, খবর পেয়ে । শেতালবাবু এই মাত্তর ঘুরে গেলেন । ওদিক দিয়া ঘুরিয়া শশী বাড়ির ভিতরে গেল। মেয়েরা, দল বাধিয়া আসিতে শুরু করিয়াছিল, পাগলদিদি দরজা খোলেন নাই। শশীশ্ব ভাকাভাকিতে দুয়ার খুলিয়া দিলেন, কঁাদিয়া বলিলেন, ও শশী, এমন সর্বনাশ কেন কৱালি অামার, কেন ব্রটালি ওকথা ? শশী বিবর্ণমুখে বলিল, আমি তো ওকথা রটাইনি পাগলদিদি ৷ ” Y Rtar