পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখ তুলিতেই সামনে অত বড় একটা পুতুল পড়িয়া থাকিতে দেখিলে এ কথা মনে হওয়ার মধ্যে বিস্ময়ের কি আছে যে এ কাজ দেবতার, এই ভঁহার ইঙ্গিত । পুতুলটিকে আরও খানিকটা গাছের গোড়ার দিকে ঠেলিয়া দিয়া আলোটা তুলিয়া লইয়া শশী আগাইয়া গেল । বলিল, সাবধানে পা ফেলে চলো নিতাই, আস্তে পা ফেলে চলে । ফেলে দিয়ে হারুকে কাদা মাখিও না যেন । কী রাস্তা ! কায়েত-পাড়ার সঙ্কীর্ণ পথটির দুদিকে বঁাশঝান্ডে মশা ভিন-ভিন। করিতেছিল । যামিনী কবিরাজের গোয়ালের পিছনটাতে তিন মাসের জমানে গোবর পচিয়া উঠিয়াছে। ডোবার মধ্যে সারা বছর ধরিয়া গজানো আগাছার জঙ্গল এখন বর্ষার টুবুন্টুবু জলের তলে হাঁপাইয়া হঁপাইয়া বিষাক্ত হইয়া উঠিয়াছে। খানিক দূর আগাইয়া হারুর বৌ এর মড়া কান্না তাহদের কানে ভাসিয়া चषन्निब् ॥ Sq محصير শশীর চরিত্রে দুই সুস্পষ্ট ভাগ আছে। একদিকে তাহার মধ্যে যেমন কল্পনা, অভাবাবেগ ও রসবোধের অভাব নাই, অন্য দিকে তেমনি সাধারণ সাৎসরিক বুদ্ধি ও ধনসম্পত্তির প্রতি মমতাও তাহার যথেষ্ট । তাহর কল্পনাময় অংশটুকু গোপন ও মুক। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে তাহার সঙ্গে না মিশিলে একথা কেহে টের পাইবে না যে, তার ভিতরেও জীবনের সৌন্দৰ্য ও শ্ৰীহীনতার একটা গভীর সহানুভূতি-মূলক বিচার-পদ্ধতি আছে । তাহার বুদ্ধি, সংযম ও হিসাৰী প্ৰকৃতির পরিচয় মানুষ সাধারণত পায় । সংসারে টিকিবার জন্য দরকারী এই 呜叶@何可丐 শশীকে সকলে ভয় ও খাতির করিয়া চলে:-- শশীর চরিত্রের এই দিকটা গড়িয়া তুলিয়াছে তাহার বাবা গোপাল দাস ৷ ” গোপাল দাসের কারবার লোকে বলে গলায় ছুরি দেওয়া । আসলে সে র সম্পত্তি কেনাবেচা ও টাকা ধারা দেওয়া । অৰ্থাৎ দালালি ও মহাজানি । শোনা যায়, এক কালে সে নাকি বার তিনেক জীবন্ত মানুষের কেনাবেচার ক্যাপারেও দালালি করিয়াছে-তিনটি বুদ্ধের বেী জুটাইয়া দেওয়া । সে SS