পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্ৰশোকাতুর ছুঃখিনী মাতা। (t পুৰ্ব্বে উহা যে প্রকার উজ্জ্বল ছিল এক্ষণে আর সেপ্রকার নাই বটে, তথাপি তুমি ইহা দ্বারা সামান্য রূপ দেখিতে পাইবে তাহার কোন সন্দেহ নাই। এই যে সন্নিধানে #তীর কুপটা হিয়াছে দেখিতেছ, তুমি ইহার ভিতর নেত্রপাত করিয়া দেখ, পরে, যে দুটি ফুল গাছকে ভূমি উপড়াইতে চাহিয়াড়িলে তাহীদের নাম অামি তোমার সাক্ষাতে বলিৰ । কুপের ভিতর দৃষ্টিপাত করিলে, ভবিষ্যতে উহাদের যে অবস্থা হইবে সকলই স্পষ্ট রূপে তোমার অনুভূত হইতে পারবে, এবং কলিকাবস্তাতে যে দুটা চারা গাছ তুমি নষ্ট করিতে উদ্যত হইয়াচ তাহও তুমি দেখিতে পাইবে । মহাকালের এই বাক্যে দুঃখিনী মাত কুপের মধ্যে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখেন, পুৰ্ব্বোক্ত একটি রক্ষের পবমায়ু পরম আনন্দ অনুভব করিতেছে, তাহ দেখিতেইবা কত মনোরম, এবং তাহার চতুর্দিকে কত প্রকার মুখ স্বচ্ছন্দত বিস্তারিত ভাবে বেষ্টিত হইযা রহিষাছে । তদুষ্টে বোধ হইল ধরণীমণ্ডলের আরও অনেক লোকে ঐ রূপ সুখী হইতে পারিবে, তাহার মুস্পষ্ট · চিত্নও চারিদিকে স্থাপিত রহিয়াছিল। অার একটির কিছুমাত্র মুখ নাই, মনের ক্ষোভ উৎকণ্ঠা দুঃখ-ভাবন কুচিন্তা প্রভৃতি নানা প্রকার দুর্ভাবনা হেতু তাহার জীবনকালfট একেবারে অবসন্ন হই যাছিল । মৃত্যু বলিলেন ভদ্রে! কুপের মধ্যে দুই জনের যে অবস্থা দেখিতে পাইলে এই দুই-ই ঈশ্বরাদ্দীন জানিবে, র্তাহার ইচ্ছাতেই একের মুখ এবং একের দুঃখ উৎপন্ন হইযৗছে ।