পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* নায়কশোকাতুর দুঃখিনী নায়িকা । সমস্ত রাত্রি জাগরণে গিয়াছে, প্রাতঃকালে নিদ্র। যাই. বার কারণ দুষ্ট আপন গৃহমধ্যে প্রবিষ্ট হইল। এই সুযোগে ক্ষুদ্র পরি শুষ্ক পত্র হইতে বাহিব হুইয়া নিদ্রিত বালীর কর্ণে প্রবেশ করিয়া স্বপ্নবৎ তাহার প্রাণেশ্বরের ভয়ানক হত্যার সংবাদ কহিতে লাগিল। “ওহে সুন্দরী তোমারই ভাই তোমার প্রাণেশ্বরকে হত্যা করিয়া বনস্থিত নেবু গাছের তলায় তাহীর মৃতদেহকে পুতিয। বাখিয়াছে । একথা তুমি কেবল স্বপ্ন বোধ করিও না, সেই নেবু গাছের শুষ্ক পত্রটি তোমারই বিছানাতে আছে, উঠিলেই তাঙ্গ দেখিতে পাইবে’ । বালিকা এইরূপ দুঃস্বপ্ন দর্শনে নিতান্ত উদ্বিগ্ন হইয়া, উঠিয় দেখে যে যথার্থই তাহার শয্যর মধ্যে নেবুপতি৷ পড়িয়া রহিয়াছে - আহ ! এই দুঃসপ্ন দর্শনে ঐ রমণীর চক্ষু হইতে কতইব অশ্লী পতিত হইল । মনের দুঃখ মনেই থাকিল, কাহারও নিকট প্রকাশ করিয়া ঈ পন মনকে প্রবোধ দিতে পারিল না । সমস্ত দিনই ঐ বালিকরে ঘরের জালালাটি খেলিছিল, মনে করিলে ক্ষুদ্র পরি অনায়াসে উদ্যানস্ত গোলাপ লা অন্যান্য পুষ্পে উড়িয় তে পারিত । কিন্তু বালিকাকে নিতান্ত ব্যাকুল দেথিয়া কোন প্রকারে তাহাকে ত্যাগ করিয়! যাইতে ত{হার মাসে এক এক বার তাহতে গোলাপ পুষ্প পরি তাহ রই একটর ভিতর প্রবেশ ঐ শোকাকুল বালিকার প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া রহিল । সেই নরাধম পাপায় হত্যকারী