সবার উপুর আছ তুমি অন্তরে সে পাই।
ধিয়ানেতে আছ কন্যা অন্তরেতে পাই॥”
দিশা— “বিদেশে বান্ধা তোমার মনে কত দুঃখ।
মনে কত দুঃখ রে তোমার মনে কত দুঃখ॥
শুনরে বৈদেশী বন্ধু কহি যে তোমারে।
পরিচয় কথা একবার কও যে আমারে॥
কোন্ দেশে জনম হইল কেবা বাপ মাও।
কোন্ জনে পালিল ঐ মন কোকিলার ছাও॥
যে দেশে জনম তোমার সে দেশের লোকে।
কি নাম রাখিল তোমার কি বলিয়া ডাকে॥”
“নাম নাই কন্যা গো আমার থান নাই সংসারে।
পাগল বলিয়া লোকে উপখুসী[১] করে॥
কেহ দেয় অঙ্গে ধূলা কেহ বা সম্ভাষে।
পাতের অন্ন দিয়া কেউ পাগলেরে বাসে॥
কেহ বলে দূর দূর কেহ বলে আইস মোর ঘরে।
ছাড়িয়া নয়নের জল দাঁড়াই দুয়ারে॥
কেউ হয় বাপ মাও কন্যা কেউ হয় দুষ্মন।
কেউরে না দোষী লো কন্যা পাগল আমার মন॥
পাগল আমার ডাক নাম পাগল আমার বাঁশী।
আউলা[২] পন্থে গাই গান হইয়া উদাসী।”
“তোমার বাঁশী শুন্যা বুঝি মানুষ পাগল হয়।
নাগরিয়া লোকে তোমায় তেই সে করে ভয়॥