“শুন শুন সাধু আর কৈয়া বুঝাই তোরে রে।
জঙ্গলায় দেখিলাম আচানক্যা[১] কন্যা এক
বসতি না করে॥১২
দানাপরী হবে কি হবে বনের দেবতা।
এমন সুন্দর রূপ নাহি দেখি কোথা॥”১৪
তবে সাধু সদাগর মেলা যে করিল।
কন্যার নিকটে গিয়া দরিশন দিল॥১৬
আইঞ্চল বিছাইয়া কন্যা শুইয়া নিদ্রা যায়।
মা মা বলিয়া সাধু কন্যারে জিগায়॥১৮
“কোথা কারে সুন্দর কন্যা আইলা কোথা হইতে।
রাজার ছাওয়াল[২] কেন আইলা বনেতে॥২০
আসমানের চান্দ কেন জমিনে বিছান।
মাও বাপ কন্যা লো তোর জিয়ন্তের পাষাণ॥২২
কেমন কইরা কন্যা লো তোরে কোন্ পরাণে ছাড়ি।
এমুন বয়স কালে লো কৈল বনচারী।”২৪
“শুন শুন ধর্ম্মের বাপ গো কহি যে তোমারে।
জন্ম লইয়া ছিলাম আমি এক রাজার ঘরে॥২৬
নিষ্ঠুরা হইয়া মাও বাপে কর্লো বনবাসী।
কান্দিয়া কাটিয়া আমি গো পোহাই দিবানিশি॥”২৮
কন্যা তখন সাধুর কাছে যত বিরি বিত্তান্ত[৩] এক এক কইর্যা সকল কইল। তখন সাধু কইল, যা থাকে কপালে এই কন্যারে লইয়া যাইবাম দেশে।