পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা তিলক বসন্ত
৩৮৩

(হায় রাণী) বনেত আছিলাম রাণী বনের ফল খাইয়া।
দুঃখ নাইসে ছিল মনে তোমারে লইয়া॥
সাত রাজার ধন মাণিক আমার কোন্ জনে হরিল।
নয়ানের মণি আমার কে কাড়িয়া নিল॥
এতদিনে বুঝিলাম বিধি বাদী হইল।
এতদিনে বুঝিলাম রাজ্যসুখ গেল॥
পাতার বিছানা ঘর পইরা আছে খালি।
বাড়াভাতে দারুণ বিধি দিলা মোরে ছালি॥
পাতার কুটীরে আমার কোন্ প্রয়োজন।
জলেত ঝাপাইয়া আমি ত্যজিবাম জীবন॥
যাহার সুখের লাগ্যা কাটতাম বনে কাট।
যে জনা আছিল আমার সুখের রাজ্যপাট॥
আর না থাকিব আমি এই গয়িন বনে।
বিদায় দেও কাঠুরিয়া যাইব অন্য স্থানে।”

এই কথা শুনিয়া বনে উঠে কান্দনের রোল।
কাঠুরিয়া যত কাইন্দা হইল উতরোল॥
মন্তনা করিল তারা রাত্রি পোষাইলে।
নানান দেশে যাইব তারা কন্যার তল্লাসে॥
তবেত পাগল রাজা পরবোধ না মানে
পাত্তার কুটীর জ্বালাইল বেড়ার আগুনে॥
রজনী পোষাইল যুদি কেউ না দেখে তারে।
হায় হায় পাগেলা রাজা গেল বা কোথাকারে॥ (১—৪৬)

(৬)

কথার ভাবে— 
আর এক রাজার দেশ আর এক মুল্লুক।
আসমান জমীন টলমল।
চান্দা সুরুজ ঝলমল॥