পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO যে স্থলে কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে সেইখানে তাহার অর্থ কি হইবে তাহাই দিয়াছি, অভিধানের মত যাবতীর অর্থের তালিকা দিতে চেষ্টা করি নাই। (२४) भन्नाद्या' (१ः 8२ ) ७ 'ङ्कट्टेम' (श्रृः >०७ ) भएका अश्रुश्व “ন’-কারকে তিনি স্বতন্ত্র , অক্ষর বলিয়া স্বীকার করেন না, পরস্তু বলেন যে উহা সমগ্ৰ শব্দটির একটি অচ্ছেদ্য অংশ যাহার জন্য সমগ্ৰ শব্দটির অর্থের কোন পরিবর্তন হয় না । ‘তুইন'-কে তিনি “তুমি’ শব্দের অবজ্ঞাসূচক অপভ্রংশ বলেন, কিন্তু কেবল “তুই’ শব্দটিই ত তাহার পক্ষে যথেষ্ট এবং “তুইন' শব্দের 'ন' তাহা হইলে একান্ত নিরর্থক। আমার মনে হয় যে ঐ “ন’, ‘না’ শব্দের অপভ্ৰংশ এবং যে শব্দের সহিত যুক্ত হয় তাহাতে জোর বুঝায়। “ন’ শব্দ দ্বারা সব সময়ই অসম্মতি বুঝায় কিন্তু এই সকল পালাগানের “না' শব্দটি এতবার সম্মতি বুঝাইতে ব্যবহৃত হইয়াছে যে “মন্দান্যা” ও ‘তুইনের বেলাতেও তাঁহাই বুঝাইবে, এই মনে হয়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে শুধু বঙ্গদেশে নহে, অন্যান্য স্থানেও না’-এর এই সম্মতি-সূচক অর্থে ব্যবহার একান্ত বিরল নহে। 'ন' শব্দটি জিজ্ঞাসা ও সম্মতি উভয়ই বুঝায় এরূপ অর্থে এখনও প্ৰচলিত আছে । (১৬) “নিয়াড়ে' ( পৃঃ ১১৩) শব্দটির অর্থ ‘নিকটে' না। ধরিয়া ‘জন্য” ধরায় ইনিও সুরেন্দ্রবাবুর মত ভুল করিয়াছেন। আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে এই শব্দটির নিকট’ ( যাহার সহিত ইহার আকারগত এতটা সাদৃশ্যও রহিয়াছে ) অর্থে এত বহুল ব্যবহার রহিয়াছে যে অনুমানের আর স্থান নাই। , ( २१ ) ‘খামারিয়া জমি' ( পৃঃ ১১৪) কথাটি দ্বারা স্পষ্টভাবে কর্মণোপযোগী জমিকে বুঝাইতেছে ; বঙ্গদেশের সর্বত্র কথাটি এই অর্থেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মহিমবাবু বলেন ইহার অর্থ হইবে ‘ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দেওয়া একখণ্ড জমি” ; আমি জানি না। উহার স্থানীয় অর্থ ঐ রূপ কি না । (১৮) মহিমবাবু বলেন ‘জুলুঙ্গা' ( পৃঃ ১৬৭ ) শব্দটি দ্বারা বাঁশের চেয়াড়ী দ্বারা নিৰ্ম্মিত পাখীর খাচা বুঝাইয়া থাকে। আমার মনে হয় এই অর্থই ঠিক ।