পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা মধুপুরের জঙ্গলে এই বারতীৰ্থ এখনো বিদ্যমান । ইহা মৈমনসিংহ পরগণার জোয়ানসাহীর অন্তর্গত। মধুপুর জঙ্গল এক সময়ে কামরূপের KKKBB BB DB BDB D BDB S gggDg LD DuD DDDB ভূমিতে সেই সকল কীৰ্ত্তির ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। কামরূপ খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে সৌভাগ্যের চরম সীমায় উপস্থিত হইয়াছিল । এই কীৰ্ত্তিসমূহ উক্ত সময়ে কিংবা তাহারও পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এই গীতিকায় যে ভগদত্তের নাম উল্লিখিত আছে তৎসম্বন্ধে এবং মধুপুর জঙ্গলের ইতিহাস কীৰ্ত্তন উপলক্ষে মৈমনসিংহ গেজেটীয়ারে কিছু বিবরণ আছে। আমরা তাহা হইতে নিম্নে প্রদত্ত অংশ উদ্ধত করিলাম। “মধুপুর জঙ্গলের কঠিন রক্তবর্ণ ভূমি ঢাকা হইতে আরম্ভ করিয়া জামালপুর পর্য্যন্ত বিস্তৃত। এই জঙ্গল মৈমনসিংহ জেলার স্বাভাবিক একটি সীমানা। ডাক্তার টেলার লিখিয়াছেন, পূর্বকালে মধুপুর জঙ্গল এবং টাঙ্গাইল কামরূপের রাজগণের অধিকৃত ছিল। কামরূপের সর্বাপেক্ষা প্ৰাচীন বিবরণী আমরা সপ্তম শতাব্দীতে তিববত ও চীনদেশের পরিব্রাজকদিগের ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত হইতে পাইয়াছি। ঐ সময় মৈমনসিংহ সমধিক পরিমাণে বৌদ্ধপ্রভাবান্বিত ছিল। হিন্দুরা সে স্থানে কতকটা হীনবল ছিলেন। যে সব প্রাচীন কীৰ্ত্তি মধুপুরের এই জঙ্গলে দৃষ্ট হয় তন্মধ্যে বড় বড় দীর্ঘিকাগুলি বিশেষরূপে উল্লেখ যোগ্য । ইহাদের অনেকগুলি ভগদত্ত নামক রাজার নামের সহিত সংশ্লিষ্ট । এই ভগদত্তকে অনেকে কামরূপের বিখ্যাত ভগদত্তের সঙ্গে গোল করিয়া ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন। কামরূপ খৃষ্টীয় ৮ম শতাব্দীতে সৌভাগ্যের চরমসীমায় উপস্থিত হইয়াছিল।” এই গানে পরগণা জোয়ানসাহীর উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এই পরগণাটি কস্তাহলের বিখ্যাত দত্ত পরিবারের জনৈক মুসলমানধৰ্ম্মাবলম্বী বংশধর কর্তৃক স্থাপিত হইয়াছিল। ইহার নাম সাধারণতঃ মনুর খান বলিয়া