—তার কথা, তার পরে কি রকমে রাজ কন্যারে ভিনদেশী রাজকুমারে বনের মধ্যে পাইয়া জোর কইরা ধইরা লইয়া গেছিল্[১] তার কথা, তার পরে—কি্ রকমে হেই রাজকুমারের হাত থাক্যা উদ্ধার পাইয়া তার সোয়ামীরে বাঁচাইয়া আননের[২] লাগ্যা পরীর মুল্লুকে গেল, তার কথা। এই কথা শুন্যাই মদনকুমার চীৎকার কইরা উঠ্ল। কইল এই কথা “রও রও!” বন থাক্যা আমি যে কি রকমে পড়ীর মুল্লুকে গেলাম, হেইডা তুমি জান না। আমি কইয়া লই[৩]। তখন্ কন্যা সগলরে সাক্ষী কইরা কইল—আমার কথা এই খানে শেষ। আমার লগে তোম্রার[৪] যে দেখা সক্ষাৎ তারও শেষ। অতদিনের পরে মদনকুমার ফির্যাবার, হায় মধুমালা! হায় মধুমালা! কর্তে কর্তে পাগল অইয়া গেল।
(১৪)
তার এই দুঃখু দেখ্যাও মধুমালা পরিচয় দিল না কারণ, তখনও বার বচ্ছর পূর্ণিত হয় নাই। আর ছয় মাস বাকি আছে,—এমন সময় মধুমালা কর্ল কি একটা ডুমণীর বেশ ধইরা কতগুলি খাড়ি, বিউণী তৈয়ার কর্ল। এই যে খাড়ি, বিউণী গুলাই বাইন[৫] কর্ছে তার মধ্যে মদনকুমার মধুমালার ছবি। এই খাড়ি বিউণী লইয়া মধুমালা তার বাপের বাড়ীত গেল। খাড়ি বিউণী দেখ্যা মধুমালার মা কান্তে লাগ্ল। আর কইল—ডোমণী। তুমি এই খাড়ি বিউণী কই পাইলা? তার মায়ের কান্দন দেখ্যা মধুমালা কইল—মা ঠাকুরাইন! তুমি কেরে কান্দ? তখন রাণী কইল—এই মধুমালা আমার কন্যা আছিল্। পাঁচ ভাইয়ের বইন্; আমি তারে হারাইয়া কান্তে কান্তে অন্ধ হইছি। তখন ডোম্ণী কইল