পাতা:পূর্ববঙ্গ ও হিন্দু সমাজ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
পূর্ববঙ্গ ও হিন্দু সমাজ

কিছু বলপূর্বক করা হয় তৎসমস্তই মনুর মতে অসিদ্ধ” (৮।১৬৮)। এতদ্ব্যতীত বলপূর্বক ধর্ষিতা নারীগণকে পরিবারে ফিরাইয়া লইবার বিধান অত্রিস্মৃতিতে আছে, “সম্পূর্ণ অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি কোন নারী ছলে, বলে বা কৌশলে ধর্ষিতা হয়, তবে ঐ নারীর পাপস্পর্শ হয় না এবং সে পরিত্যক্তাও হইতে পারে না; কারণ ঐ কার্যে তাহার অনুমোদন ছিল না” (১৯৩-৯৪ শ্লোক)।

গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মত

 শ্রীধাম নবদ্বীপে শ্রীশ্রীধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শ্রীমন্দিরে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক সভা বলপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ প্রভৃতি বর্বরোচিত কার্যের নিন্দা করিয়া ও উক্ত কার্যের পরিসমাপ্তি কামনা করিয়া নিম্নলিখিত মন্তব্য প্রকাশ করেন―

 জীবমাত্রেই হরি ভজনে অধিকারী। ধর্ম চিত্তের অভিরুচির উপর নির্ভর করে। বলপূর্বক কেহ কাহাকেও ধর্মান্তরিত করিতে পারে না। নোয়াখালি, ত্রিপুরা প্রভৃতি স্থানে অনেকে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত হওয়ায় বিমর্ষ হইয়াছেন। তাহাদের দুঃখে দুঃখী হইয়া ও তাহাদিগকে সান্ত্বনা দিবার নিমিত্ত শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া সমিতি জানাইতেছেন যে, কোনরূপ শুদ্ধি ব্যতীতই ধর্মান্তরিত সকলকে তাহারা সাদরে ও সাগ্রহে ক্রোড় দিতে প্রস্তুত আছেন। ইতি—শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির পক্ষে অন্যতম সভ্য শ্রীহংসগোপাল গোস্বামী।