পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের গুপ্ত-নৃপতিগণ । SÓ$b গুপ্তরাজগণের রাজত্ব কালে, ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা প্রভাবে, সংস্কৃত ভাষা-রাজকীয় ভাষা রূপে পরিগৃহীত হয় এবং ক্রমশঃ উন্নতির পথে প্ৰধাবিত হইতে থাকে। 游 染 হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠায় গুপ্ত-গণের সমদৰ্শন-নীতি । গুপ্তরাজগণের প্রতিষ্ঠার আর এক প্রকৃষ্ট কারণ-ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে সমদৰ্শন-নীতি। হিন্দুধৰ্ম্মের সেই উন্নতির দিনেও বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায় এবং তাহদের ধৰ্ম্ম ভারত হইতে একেবারে ‘अश्रुरॅिऊ श्ब नांदेरे । খৃষ্ট-জন্মের পূর্ব-বৰ্ত্তী দুই শত বৎসর হইতে পরবর্তী প্ৰায় দুই শত বৎসর উত্তর ভারতে, কাশ্মীরে, আফগানিস্থানে এবং স্বাতপ্রদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্মেব প্ৰতিষ্ঠার পরিচয় পাই। তাৎকালিক বৌদ্ধপ্রাধান্যের স্মৃতি-চিহ্ন স্বরূপ স্তম্ভান্দিব ভগ্নাবশেষ এবং লিপিসমূহ, বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্মের প্ৰতিষ্ঠার বিষয়ই সুচনা করিয়া দেয়। বৌদ্ধধৰ্ম্মনীতির সহিত একান্ত সম্বন্ধ-বিশিষ্ট হইলেও তৎকালে জৈনধৰ্ম্মনীতি বিশেষ সমাদৃত হয় নাই। তবে, মথুরা প্ৰভৃতি কয়েকটী জনপদে বিশেষ শ্রদ্ধার সহিত জৈনধৰ্ম্ম অনুস্থত হইত। জৈন ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সেই প্ৰতিষ্ঠার দিনেও হিন্দু ধৰ্ম্ম একেবারে বিলুপ্ত হয় নাই। তখনও হিন্দুধৰ্ম্মের অনুবৰ্ত্তীর অভাব ছিল না। শাক-নৃপতি দ্বিতীয় কাড ফাইসেস হিন্দুধৰ্ম্মের এমনই অনুরাগী ছিলেন যে, তিনি তাহার। প্ৰবৰ্ত্তিত মুদ্রাদিতে শিবমূৰ্ত্তি অঙ্কিত করিতেন ; এবং আপনাকে শিবের উপাসক ‘শৈব’ বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মেন্ন প্ৰবল উন্মাদনার দিনেও হিন্দুর দেবদেবীর আরাধনা-উপাসনা সমভাবেই চলিয়াছিল। ভারতের অঙ্গে যে সকল বৈদেশিক জাতি অঙ্গ মিশাইয়া ছিলেন, প্রথমতঃ তাহার বৌদ্ধধৰ্ম্মের ‘মহাযান’ শাখার নীতির অনুসরণ করিতেন। ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মের বা হিন্দুধৰ্ম্মের কঠোর নীতিসমূহ তীহাদের নিকট তাদৃশ সমাদরপ্রাপ্ত হয় নাই। কিন্তু ক্ৰমশঃ তাহারা হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগী হইয়াছিলেন। শক নৃপতি কনিক্ষ এবং হবিস্ক, উভয়েই বৌদ্ধধৰ্ম্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তঁহাদের মুদ্রাদিতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের পরিচায়ক নিদৰ্শন-সমূহ বৰ্ত্তমান। কিন্তু তঁহাদের পরবর্তী বাসুদেব, দ্বিতীয় কাডিফাইসেসের অনুসরণে শৈবধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। ভারতের অন্যান্য জনপদেরসৌরাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্যের, শাকনৃপতিগণও বৌদ্ধধৰ্ম্মের নীতি অপেক্ষা ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মের নীতিসমূহের প্রতি অধিকতর অনুরাগী ছিলেন। তঁহাদের পৃষ্ঠপোষণে তখন দিনদিন সংস্কৃত-ভাষার শ্ৰীবৃদ্ধিসাধন হইতেছিল । বৌদ্ধধৰ্ম্মের মহাযান-ব্ৰাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মেরই প্রকার ভেদ মাত্র। সুতরাং ‘মহাযান’ শাখার উন্নতি-পরিপুষ্ট, পরবৰ্ত্তিকালে ব্ৰাহ্মণ্য-প্রভাব-সমন্বিত হিন্দুধৰ্ম্মের শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধনে সহায়তা করিয়াছিল,-তাহাতে সন্দেহ নাই। তাই মনে হয়,-ধৰ্ম্মনৈতিক এবং সমাজনৈতিক সংশয়সমতার নিরসনে, তাৎকালিক নৃপতিবৃন্দের মধ্যে ব্রাহ্মণ্য-প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল; আর তাহারই ফলে, সংস্কৃত ভাষার প্রতিষ্ঠা পুনঃ-প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল -বহুসহস্রব্যাপী বিপ্লববিভীষিকায়-শতবািড়ঝঞ্জার অভিঘাতে, হিন্দুধৰ্ম্ম-সৌধ বিপৰ্যন্ত হইয়াছিল,-ব্রাহ্মণ্য-প্রভাব