পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - পঞ্চম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ইতিহাসের স্তর-নির্দেশ। 总盒 তfই থানেশ্বর হইতে র্তাহার প্রত্যাবর্তনের অল্পদিন পরেই রাজ্যবৰ্দ্ধনের কনিষ্ঠ হর্ষবৰ্দ্ধন থানেশ্বরের সিংহাসনে অভিষিক্ত হন । তাই সিংহাসন লাভ করিয়া অল্পদিন মধ্যেই তিনি বিভিন্ন জনপদের রাজ দ্য বর্গের সহিত সখ্যতা-স্থাপনে প্রযত্নপর হন । কামরূপের অধিপতি ভাস্করবর্মণ তাহার সহিত সখ্যতা-স্থাপন করেন ;– আর সেই স্থত্রে হর্ষবৰ্দ্ধন গৌড়-আক্রমণে, শশাঙ্কের গৰ্ব্ব খবর-সঙ্কল্পে, বদ্ধপরিকর হইতে পারেন । তবে সে সঙ্কল্প-সাধনেও তিনি সহস। BBBB BBBB BBB BBB SSSSSS AAA SBBB BBBBBB B BB BBBB BBBBB BBBB পারিয়াছিলেন, ইতিহাসে তাহার প্রমাণ নাই । ৬১৯ খৃষ্টাব্দে শশাঙ্ক কর্ণসুবর্ণে রাজধানী স্থাপন করিয়া রাজ্যশাসন করিতেছিলেন, প্রমাণ পাওয়া যায় । তখনও তাহার অনেক করদমিত্র রাজা বিদ্যমান ছিলেন । সুতরাং মনে হয়, শশাঙ্কের লোকান্তরের পর বঙ্গদেশ কিছুকাল DBBBBB BBB B BB BBBBB S BB BBBBBB BBBBB BB BBB BBB BBB BSBBBBD DDDS DDD SSSSSS BBB BBB BBBB BBBB BBBBB BBB S DDS হউক, ভ, পর্ষের বহু প্রদেশে হর্ষবৰ্দ্ধন যে বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের বিজয়-পতাকা প্রোথিত করিয়া আপনার সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তাহ ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হইয়া আছে । পুৰ্ব্বসীমানায় বঙ্গদেশ ও বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম সীমায় কচ্ছ, গুর্জর ও আরব-সাগর ; উত্তরে পঞ্চনদ প্রদেশ ও জলন্ধর ; দক্ষিণে নৰ্ম্মদ-নদী-প্রবাহ ;—এই চতুঃসীমার মধ্যে হর্ষবৰ্দ্ধনের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠি ও ইহয়াছিল, তাহার সাক্ষ্য ইতিহাসে দেদীপ্যমান রহিয়াছে। শশাঙ্ক যেমন ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠার জন্ত প্রাণপণ প্রয়াস পাইয়াছিলেন, বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্ত হর্ষবৰ্দ্ধনের প্রয়াসও সেইরূপই দেখা গিয়াছিল । শশাঙ্কের ও হর্ষবদ্ধনের বিস্তৃত সাম্রাজের পরিণতির বিষয় আলোচনা করিলে ধৰ্ম্মসংঘর্ষের অবখ্যম্ভাবা ফল প্রকট প্রত্যক্ষ ভূত হয় । যে সাম্য-ভাবের অভাবে শশাঙ্কের সাম্রাজ্য ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হুইয়া পড়িয়াছিল, সেই সাম্যভাবের অভাবেই হর্ষবদ্ধনের রাজ্য বিধবস্ত হইয়া যায়। যে পুরুষে অভূখীন, সেই পুরুষেই বিলয়-সাধন । পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যেই দুই বংশের দুই সামাজ্যের অভুখান ও বিলোপ-সাধন সংসারকে জীবন্ত দৃষ্টান্ত দেখাইয়া দিল,—শক্তি-সামর্থ্য সত্ত্বেও সাম্রাজ্য স্থায়ী হয় না, যদি সাম্য ভাবের অভাব ঘটে । এই স্থত্রে আরও দেখিতে পাওয়t গেল,—ধৰ্ম্ম ভাবের উন্মাদন বড় বিষম উন্মদিন । ভারতে যে নব নব রাজ্য-সাম্রাজ্যের অভু থান ও অধঃপতন ঘটিয়াছিল, কাগর অধিকাংশ স্থলেই সেই উন্মদিনাৰ পরিচয় পাই । সপ্তম শতাব্দীর প্রথমাদ্ধে ভারতে ; রাজনৈতিক গগনে যে পরিবর্তন প্রত্যক্ষ্মীভূত হয়, ভাঙ্গার মূল কারণ অনুসন্ধান করিশে, ধৰ্ম্মপিপ্লবের প্রকট-ভাবহ পরিদৃশুমান দেখি । সপ্তম শতাব্দীর শেষার্কে—অবশিষ্ট্র পঞ্চাশ বৎসরে—ভারতবর্ষের রাজনৈতিক, সমাজনৈতিক ও ধৰ্ম্মনৈতিক অবস্থার যে এক অভিনব পরিবর্তন জগৎ প্রত্যক্ষ করিয়াছিল, তাহারও মূল কারণ,—সেই ধৰ্ম্মভাবের উন্মাদন—বৈষম্যে সাম্য-স্থাপনের প্রযত্ন। আমরা পুনঃপুনঃ দেখাইয়া আসিতেছি—“সৰ্ব্বমত্যস্তগষ্ঠিতম"—অতি-বৃদ্ধি কখনই মঙ্গলপ্রদ নহে ; আর, তৰ্জ্জশ্বই যখনই অতি বৃদ্ধি হইয়াছে, তখনই পতন ঘটিয়াছে। সপ্তম শতাব্দীর ইতিহাsে ধৰ্ম্ম-স দ্বার্যে বঁ ফল ।