পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - ষষ্ঠ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo. ভারতবর্ষ। আপনাদের সম্প্রদায়ভুক্ত জ্ঞানী ও গুণী জনকে ‘ব্রাহ্মণ আখ্যার অভিহিত করিয়া গিয়াছেন। যাহাকে সৎ বলিয়া মনে করে, মানুষ তাহারই অনুসরণ করিয়া থাকে। সুতরাং এ যুক্তি-মূলেও জৈনগণ ও বৌদ্ধগণ ব্রাহ্মণগণেরই আদশের অনুসরণ করিয়াছেন বলিয়া বুঝিতে পারি । * বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম হইতে যে জৈনধৰ্ম্ম উৎপন্ন হয় নাই, তৎসম্বন্ধে ভুরি ভূরি প্রমাণ প্রদর্শন করা যাইতে পারে। শেষ জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর স্বামী ‘ঞাতপুত্ত্ব’ নামে অভিহিত হন, এবং झन५% জৈনসন্ন্যাসিগণ নিগ্রস্থ নামে পরিচিত থাকেন । কিন্তু বৌদ্ধদিগের বৌদ্ধধর্মের পূৰ্ব্বে । প্রাচীনতম ধৰ্ম্মগ্রন্থে এণতপুত্তের এবং নিগ্রন্থ সম্প্রদায়ের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। বুদ্ধদেবের সমসময়ে নিগ্রন্থগণের বিদ্যমানতার এবং এাতপুত্ত কর্তৃক জৈনসম্প্রদায়ের সংস্কার-সাধনের উল্লেখ আছে । ত্রয়োবিংশতি তীর্থঙ্কর পাশ্বনাথের প্রবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মসম্প্রদায় তৎকর্তৃক সু প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল বলিয়া ও প্রচারিত দেখি । সুতরাং জৈনধৰ্ম্ম যে বৌদ্ধধৰ্ম্মের পূর্ববৰ্ত্তী, তাহ বেশ বুঝা যায়। মহাবীর বা বদ্ধমান স্বামীর নাম যে এাতপুত্ত (জ্ঞাতৃপুত্র) এবং তিনি যে বুদ্ধদেবের সমসাময়িক ছিলেন, আর নিগন্থগণ ( নিগ্রন্থগণ ) জৈন বা অৰ্হং নামে পরিচিত হইয় বৌদ্ধসম্প্রদায় গঠনের সমসময়ে যে প্রতিষ্ঠাম্বিত হইয়াছিলেন, তৎসম্বন্ধে বিশিষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত ছত্তয়া যায় । তদ্বিধয়ে এবং জৈনগণের আদি মত কি ছিল, সিদ্ধান্ত-গ্রন্থ সঙ্কলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে মতের কোনরূপ পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে কি না, তৎসম্বন্ধে প্রাচীন বৌদ্ধধৰ্ম্মগ্রন্থে ও জৈনশাস্ত্রে কি বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায়, একটু অনুসন্ধান করিয়া দেখা যাউক । অঙ্গুত্তরনিকায়ে (তৃতীয়, ৭৪ ) বৈশালীর লিচ্ছৰী-বংশীয় যুবরাজ সুবিদ্বান অভয়ের প্রসঙ্গ আছে । তিনি নিগন্থগণের নীতিসম্বন্ধে এইরূপ বিবরণ প্রদান করিয়াছেন ;–‘নিগস্থ এাতপুত্ত সকলই জানেন এবং সকলই দেখিতে পান। তাহার পূর্ণজ্ঞান এবং ধৰ্ম্মবিশ্বাস আছে বলিয়া তিনি দাবী করেন। তাহার উক্তিতে প্রকাশ—কি বা ভ্রমণে, কি বা দণ্ডায়মানে, কিবা নিদ্রায়, কিবা জাগরণে সকল সময়েই তিনি পূর্ণজ্ঞানের এবং পূর্ণ-বিশ্বাসের অধিকারী । তিনি আরও শিক্ষা দেন যে, কঠোর সাধনায় পুরাতন কৰ্ম্ম লোপ পাইতে পারে এবং নুতন কৰ্ম্ম নিষ্কৰ্ম্ম মধ্যে গণ্য হইতে পারে । কৰ্ম্মের নিবৃত্তি হইলে দুঃখের নিবৃত্তি হয় ; দুঃখের নিবৃত্তি হইলে অনুভূতির নিবৃত্তি ঘটে ; অনুভূতির নিবৃত্তি ঘটলে সকল প্রকার দুঃখের অবসান হইয়া আসে । এইরূপে মানুষ সৰ্ব্বপাপ মুক্ত ( নির্জর ) অবস্থা প্রাপ্ত হইয় পরিভ্ৰাণ লাভ করে। জৈন-শাস্ত্র উত্তরাধ্যয়ন (ত্রিংশ অধ্যয়ন ) অনুরূপ বাণী ঘোষণা করেন ;– ‘কৃচ্ছ, সাধনায় মানুষ কৰ্ম্ম-বন্ধন ছিন্ন করে’ ( ২৭ সূত্র ) ; ‘কৰ্ম্ম পরিত্যাগ দ্বারা মানুষ নৈষ্কৰ্ম্ম-অবস্থা প্রাপ্ত হয় ; নৈষ্কৰ্ম্ম অবস্থা প্রাপ্ত হইলে আর কোনও নুতন কৰ্ম্ম সঞ্জাত হয় না, অধিকন্তু পূৰ্ব্ব-উপার্জিত কৰ্ম্ম ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় । (৩৭ স্বত্র এবং ৭১-৭২ স্থত্রে

  • @tonio Rslots (Professor Maxmuller in his Hibbert-Lectures), otoli Anth (Professor Buhler in his Translation of the Boudhayana Sutra ) as Geico ortas ( Professor Kern in his History of Buddhism in India) or of to riott writwffs ( Hermann Jacobi in his Translation of Gaina Sutras) a fisco Folo Wintol कृक्लिक्क ब्रिाप्झन । r. -