পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wed শিষ্যগণ বিস্ময়াপন্ন হইয়া গেল, দীনহীন বালকের ন্যায়। সেই প্ৰৌঢ়বয়স্ক রাজচক্ৰবৰ্ত্তী ভরত সমিধা ও কুশ হস্তে যুক্ত করে সর্বদা মহর্ষির আদেশ প্রতীক্ষা করিতেন । যিনি চৰ্ম্মাচ্ছাদন-শোভিত হস্তিদন্তের ভূত্র পৰ্য্যাঙ্কে শয়ন করিতে অভ্যস্ত, তিনি কঠোক মৃত্তিকায় শুইয়া পরিমিত সময়ে সুনিদ্রা লাভ করেন। র্যাহার মহাৰ্থ আহাৰ্য্যের জন্য সুপকারগণ নিয়ত ব্যস্ত থাকিমেক্সিন, তিনি সংঘত ভাবে আনন্দ সহকারে কষায় বন্য ফল মূল খাইয়। তৃপ্ত । ঋষির আশ্ৰমখানি তিনি নিজ হন্তে মার্জনা করিয়া সৰ্ব্বদা পরিস্কৃত রাখিতেন, প্ৰত্যুষে নিদ্রা হইতে উত্থানপূর্বক গণ্ডকীসলিলে অবগাহনপূর্বক পুলিহের নিদেশানুসারে রেচক, পুরক, কুম্ভক এই ত্ৰিবিধ প্ৰাণায়াম দ্বারা অন্তঃশুদ্ধি সাধন করিতেন । ঋষির শিষ্যগণ, বিস্মিত হইয়া দেখিলেন, তিনি ব্ৰাহ্মণগণের মধ্যে তেজস্বীী ব্ৰাহ্মণ । তাহার পুণ্যজীবন সেই আশ্রমে যেন এক অভিনব প্রভাব বিস্তার করিল। পুলহ একদিন বলিলেন, “মহারাজ, আপনার সাধনা অতি দ্রুত হইতেছে, ব্ৰাহ্মণ শিষ্যগণ অপেক্ষাও আপনি ক্ষিপ্ৰতর সাধনার পথে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছেন। এখন ব্ৰাহ্মণগণের ন্যায় আজন্মসাধনা রক্ষণ করিতে পারিলে আপনি এ আশ্রমকে ধন্য কল্পিবেল, সন্দেহ নাই ।” পুলহ দেখিলেন, ব্ৰহ্মানন্দ লাভের যে সকল চিহ্ন, তাহা অল্প সময়ের মধ্যে রাজ-শিষ্যের মুখমণ্ডলে প্রকট হইয়াছে, তঁাহার চক্ষুদ্বয়ের ভাবে সেই আনন্দ ধরা পড়িতেছে। সেই জ্ঞানের উন্মেষের সঙ্গে যে অপুর্ব বিনয় ও জীব-শ্ৰীতির সঞ্চার হয়, তাহার লক্ষণ তিনি শিষ্যপ্রবারের