ርቃስaifቅቖት মধ্যে পাইয়া আনন্দিত হইলেন। পুলহ ভাবিলেন, ‘এরূপ অল্প সময়ের মধ্যে সাধনার এরূপ ফল প্ৰত্যক্ষ হইতে আমি দেখি নাই, ইনি নিশ্চয়ই ঘহু জন্মের তপস্যা দ্বারা কৰ্ম্মক্ষয় করিয়া জগতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, কিন্তু যাহার এতদূর পুণ্য-প্রভাব, তিনি ব্ৰাহ্মণকুলে যোগ-সাধনার মধ্যে জন্মগ্রহণ না করিয়া ক্ষত্রিয়-কুলে রাজসিক ভাবের মধ্যে অবতীর্ণ হইলেন কেন ?” পুলহ রাজাকে কঠিনতর ও নির্জনতার যোগ-পন্থা দেখাইয়া দিলেন। ভারত সমাহিত হইয়া মহৰ্ষির উপদেশানুসারে ভগবানের সেবায় প্ৰবৃত্ত হইলেন । তিনি ক্ৰমে অতি কঠোর ব্ৰতে ব্ৰতী হইতে লাগিলেন-প্ৰতি তৃতীয় দিনে মাত্র কপিথ ও বদরী ফল ভক্ষণ করিতেন, কখনও সামান্য শীর্ণ তৃণ-পত্ৰাদি দ্বারা ক্ষুন্নিবৃত্তি করিয়া ভগবানের সাধনা করিতেন। তাহার দেহ নিশ্চেষ্ট হইয়া গেল, কেবল অন্তরাত্মা অপূর্ব ভগবৎরূপ ধারণ করিতে প্ৰয়াসী হইয়া সমস্ত কুণ্ঠ ত্যাগপূর্বক তচ্চারণাঙ্গুজে লগ্ন হইয়া রহিল। কখনও তিনি দেখিতেন, সমস্ত বনফুল মাল্যের মত কাহার বিরাটু দেহের শোভা-সম্পাদনা করিতেছে, আকাশ ও পৃথিবীর স্নিগ্ধ নীলিমা সেই বরাঙ্গের জ্যোতিঃস্বরূপ নয়ন ধাধিয়া দিতেছে । আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলী বঞ্চাভয়ণেীয় ফ্ল্যায়। সেই দেহের দীপ্তি সাধন করিতেছে, চন্দ্ৰ সূৰ্য্য মুকুট-মণির উজ্জ্বল শ্ৰী পরিয়া আছে, শ্ৰীপাদ হইতে করুণার ধারার ন্যায় কত গঙ্গা কল কল নিনাদ করিয়া ছুটিতেছে ; পপাসুরন্যাশন কত আয়ুধ হস্তে শোভা পাইতেছে, ভক্তের আডয়চিহ্ন স্বরূপ দীপ্ত পঙ্কজ এক হস্তে ধূত রহিয়াছে এবং তঁাহার বাণী পাঞ্চজন্য শঙ্খের স্বরযোগো অম্বুদনিনাদের ন্যায় বিশ্বের কক্ষে কক্ষে প্ৰতিধ্বনিত । হইতেছে । ፭b፡‛
