পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छफुङक्छ নির্জন আশ্রমে যেন সেই সকরুণ আহবানের একটা ব্যঙ্গময় প্ৰতিধ্বনি উঠিল । রাজার কািটর বল্কল এলাইয়া পড়িল, তিনি আত্মহারা হইয়া হরিণের উদ্দেশে ছুটিাছুটি করিতে লাগিলেন। হিমালয়ের যে শৃঙ্গের নাম ধবলগিরি, তাহারই পাদমূল হইতে গণ্ডকী নদী ছুটিয়াছে এবং তথা হইতে ভিন্নাঞ্জনের ন্যায় কৃষ্ণবৰ্ণ আয় একটি অনতি-উচ্চ ফুট গঠিত হইয়া উঠিয়াছে। এই কুটের নাম দেবসখী-দেব-সংখ্যার গাত্র স্পর্শ করিয়া অপর দিকে ধূসর বর্ণ, বিরল-শৃঙ্গ বজ্ৰ-পৰ্ব্বতের উপত্যুকা-ভাগ গণ্ডকীর তীর ব্যাপিয়া রহিয়াছে, তাহাতে লোন্ত্রি ও কুন্দ কুসুমের অপৰ্যাপ্ত সম্ভার। পূৰ্ব্বে সুদৰ্শন নামক এক-শৃঙ্গ শৈল, তাহা যেন চিত্রের ন্যায় অম্বরূপটে আঙ্কিত রহিয়াছে ; এই শিলাসমুচ্চায়ের মধ্যে প্ৰবল বেগে গণ্ডকী বহিয়া চলিয়াছে। গণ্ডকী পৰ্ব্বতদুহিতা, তাহার জল যেমন নিৰ্ম্মল, তেমনই বেগশীল। এই নদীর তীরে উন্মত্তের ন্যায় রাজা চুটিয়াছেন, আর ডাকিতেছেন “দেবদত্ত”।-- দেবদত্ত সেই হরিণের নাম । মাঝে মাঝে অশন পুষ্পের শাখাগ্ৰ ভঁাহাকে স্পর্শ করিতেছে, রাজা তাহা দেবদত্তের শৃঙ্গস্পর্শ ভাবিয়া বিচলিত হইয়া পড়িতেছেন। বঙ্ক হরিণ ছুটিয়া যাইতেছে, দূর হইতে চিনিতে না পারিয়া রাজা “দেবদত্ত” বলিয়া তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ দৌড়াইতেছেন-এবং যখন বুঝিতে পারিতেছেন, এ দেবদত্ত নহে, তখন আছাড় খাইয়া তরুমূলে বসিয়া পড়িতেছেন। পুনরায় পত্রপাতে ও তরু-কম্পন-শব্দে আশান্বিত হইয়া দেবদত্তের পদশব্দ ভ্ৰমে অনুসরণ করিতেছেন । {i বুজা বিহ্বল হইয়া কহিতেছেন, “দেবদত্ত, একবার আমায় দেখা দে, আমি তোর গ্ৰাবা-নিম্নভাগ কণ্ড য়ন করি, একবায় দেখা দে, তোৰ