পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী ক্ষুরের শব্দ শুনিয়া আমি কর্ণা জুড়াই ; আমার হস্তধৃত কোমল কিশলয় পুনরায় একবার আহার করা, আমি তোর মুখখানি দেখিয়া চক্ষু সার্থক করি ।” আহার নিদ্ৰা ত্যাগ করিয়া রাজা মণিহারা সৰ্পের ন্যায় দেবদত্তকে খুজিতেছেন। ঐ দেখ রাজসন্ন্যাসীর গাত্র বন-কণ্টকে ছিন্ন, তাহাতে বৃক্তবিন্দু ধূলিমাখা হইয়া রহিয়াছে। কঠিন প্রস্তরাঘাতে পদতল বিদীর্ণ হইয়া গিয়াছে। চক্ষের শুষ্ক তারকা নৈরাশ্যে ক্ষিপ্ততা সূচনা করিতেছে। উদরের তল ক্ষুধায় কুঞ্চিত হইয়াছে, এবং শুষ্ক কণ্ঠে “দেবদত্ত” এই শব্দ বিকৃত হইয়া অৰ্দ্ধস্ফুট ভাবে উচ্চারিত হইতেছে। আর, একবার বন্যবরাহ, একবার বন্য-মার্জার, একবার কাষ্ঠী-বিড়ালীকে দূর হইতে দেখিয়া দেবদত্ত-ভ্ৰমে বন্ধুর বাজ-পৰ্ব্বতের ক্রমোচ্চ পথে ছুটিয়া যাইতেছেন। অসাবধানতার সহিত যে প্রস্তরখণ্ড বা বন্যলতা ধরিয়া উৰ্দ্ধে উঠতে চেষ্টা করিতেছেন—তাহা কারমুষ্টিতে উন্মলিত হইয়া পড়াতে-রাজা উপত্যকার নিয়ে গড়াইয়া পড়িয়া যাইতেছেন । কণ্টক ও প্রস্তরখণ্ডে দেহ ক্ষত-বিক্ষত হইয়া যাইতেছে, রাজার সে দিকে ভ্ৰক্ষেপ নাই । পুনরায় গণ্ডকীর তীর ধরিয়া কখনও উত্তরে, নৈঋত বা ঈশাণ কোণে দিগ্বিদিক্‌ জ্ঞান-শূন্যের ন্যান্য ছুটিয়া যাইতেছেন। এই সেই মহাভাগ রাজর্ষি ভরত-যিনি অগ্নিষ্টোম যজ্ঞ করিয়া ত্ৰিভুবনে কীৰ্ত্তি লাভ করিয়াছিলেন, র্যাহার তপস্যার একাগ্ৰতা দর্শনে স্বয়ং পুলহ বিস্মিত হইয়াছিলেন, যাহার নামে এই মহাভূখণ্ড ভারতবর্ষ নামে পরিচিত। অষ্টাহ উপবাস, অনিদ্রা ও এই উন্মত্ত শোকের বেগ সস্থা করিয়া বৃন্ধ রাজা শক্তিহীন হইয়া পড়িলেন । নিৰ্জন বজ্ৰ-পৰ্ব্বতের উপত্যকায় শিলা Sey