পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী দেবদত্তকে দেখিয়া লইল, বহুকষ্টে চক্ষুর প্রান্তে একবিন্দু অশ্রু উখিত হইল। সেই দণ্ডায়মান হরিণের রূপ দেখিতে দেখিতে রাজার প্রাণবায়ু বাহির হইল। যে দেবদত্তকে তিনি দেখিয়াছিলেন তাহা প্ৰকৃত হরিণ নহে, উহা ভঁাহার মনের স্মৃষ্টি। মৃত্যুকালে মনের সৃষ্টি ঠিক প্রত্যক্ষ বস্তুর ন্যায় প্রকৃত বলিয়া মনে হয় । e মৃগচিন্তা করিতে করিতে দেহত্যাগ করিয়া মহারাজ ভরত বজ্ৰপৰ্ব্বতের কােলঞ্জর নামক শৈলে মৃগৰূপে জন্মগ্রহণ করিলেন। কিন্তু ভগবৎকৃপায় তাহার। পূৰ্ব্বজন্মের স্মৃতি বিলুপ্ত হইল না। তিনি জাতিস্মর হইয়া জন্ম গ্ৰহণ করিলেন । প্রথম জ্ঞানেন্মেষের কথা স্মরণ করিয়া বৰ্ত্তমান শোচনীয় অবস্থা প্রাপ্তিহেতু তাহার মহাভয় উপস্থিত হইল। তিনি ভয়ে কঁাপিতে লাগিলেন । ভগবানকে ভীষণ শাস্তিদাতারূপে প্ৰত্যক্ষ করিয়া তাহার অন্তরাত্মা শুকাইয়া গেল । ধীরে ধীরে হৃদয় হইতে এই ভয়ের ভাব দূরীভূত হইল ; তখন মৃগা-জীবনে তিনি কতকটা অভ্যস্ত হইলেন, কিন্তু গভীর বিষাদে তাহার হৃদয় অভিভূত হইয়া রহিল। পূৰ্ব্বজন্মের সংস্কার অবলম্বন করিয়া মৃগরূপী মহাত্মা গণ্ডকীর তীরপথে ছুটিয়া চলিলেন। শুষ্কপত্ৰ আহার করিয়া কথঞ্চিৎ জীবন ধারণ করেন, কোন হিংস্র পণ্ড হইতে আদৌ আত্মরক্ষার চেষ্টা নাই। কেবল যখন সেই শুদ্ধ, নিৰ্ম্মল গণ্ডকী নদীর জল পান করেন, তখন তঁাহার দুই SS