পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छफुष्ठझएछ চক্ষে অশ্রু প্ৰবাহিত হয় । এই নদীর জলে দাড়াইয়া এ জন্মে। আর র্তাহার তর্পণপূর্বক ভগবৎ আরাধনা করার অধিকার নাই। কিছু দিন পরে তিনি পুলস্ত্য-পুলহ আশ্রমে হরিক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। মৃগয়াপী ভরত গণ্ডকীর তীরে স্বীয় পরিত্যক্ত কুটীর চিমিয়া লাইলেন ও একদা যে কুশাসনে বসিয়া, যে জপের মালা ধারণ করিয়া তিনি ভগবৎ চিন্তা করিয়াছেন, তাহা সাশ্রুনেত্ৰে দেখিয়া কুটীরদ্বারের ধূলিতে অবলুষ্ঠিত হইয়া রছিলেন। যে ব্ৰহ্মানন্দের আস্বাদ তিনি একবার পাইয়াছিলেন-এজন্মে সে অধিকার আর তাহার নাই। তিনি কাঞ্চন ভুলিয়া কঁাচে মজিয়াছিলেন, তাই হরিণ সাজিয়াছেন। মানুষ হইয়া মানবের সার ধন ব্ৰহ্ম-জ্ঞান তিনি স্বেচ্ছায় নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছিলেন-তাই সেই পরম অধিকার হইতে তিনি এবার বঞ্চিত । মৃগরূপী ভরত পুলহ ঋষির কুটীরের পার্শ্বে দাড়াইয়া ঋষি-শিষ্যগণকে হোমানল জ্যালিতে দেখেন, তঁাহারা যখন প্ৰণব উচ্চারণ করিয়া ব্ৰহ্মধ্যানে নিযুক্ত হন—তখন তিনি সমস্ত বিস্মৃত হইয়া সেই ষোগিগণের রূপমুধা পান করিতে থাকেন। ডাহার দুই গণ্ড বহিয়া অশ্রুধারা নিপতিত হয়। পুলহ ঋষিকে তিনি দেখিতে সাহসী হন না, ইনি পরম অনুকম্পায় তঁহাকে মোহ হইতে উদ্ধার করিতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন-রাজা ইহার স্বৰ্গতুল্য সঙ্গ ত্যাগ করিয়া মায়ায় জড়িত হইয়াছিলেন। মৃগ সেই পুলস্ত্য-আশ্রমের এক কোণে পড়িয়া থাকিত-সে। কিছু খাইতে চাহিত না, ঋষি-শিষ্যগণ দয়া করিয়া তাহার সম্মুখে যাহা ফেলিয়া দিত, তাহাই কিঞ্চিম্মাত্ৰ খাইয়া প্ৰাণধারণ করিত। সে বুঝিল যে, এই জীবন তাহার দণ্ডভোগের কাল; সুতরাং ধৈৰ্য্য অবলম্বনপূৰ্ব্বক è à