পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୫୯୭୪୪ অতীত এই শিশুটির মধ্যে জড়তাসত্ত্বেও কি একটা আশ্চৰ্য্য সৌন্দৰ্য্য ছিল, তাহাতে তাহাকে ভাল না বাসিয়া পারা যাইত না । ইন্দ্ৰচুড় তাহার গায়ে হাত তুলিয়া অনুতাপ বোধ করিতে লাগিলেন, পিতৃলোেৱ হইতে ঝর ঝাবু করিয়া অশ্রু পতিত হইল ; হাবা ছেলে সিস্নেহে তাহা মুছাইয়া দিলেন, এবং শুধু চক্ষুর দৃষ্টি দ্বারা পিতার হৃদয়ে পরম শাস্তির ७jद अन्झन्म दक्षिgछन् । মধ্যম পুত্ৰ শ্ৰীকণ্ঠ প্রায়ই বলিতেন, “এই হাবা ছেলেটাকে লইয়া বাবা রাত্রি দিন ব্যঙ্গ করেন, ভগবান ইহাকে বাকৃশক্তি দেন নাই, এটা একটা মুক পশুর মত, তথাপি পিতা ইহাকে কথা বলিতে শিখাইবেন, তিনি ভগবানের বিধির উপরও একটা বিধান করিতে চাহেন।” জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিকাম বলিলেন, “আমি বলিতে পারি না, কেন এই হাবা ছেলেটার জন্য আমার প্রাণেও বড় স্নেহ হয়। দিন রাত্রি ঐ হাবা ছেলেকে সঙ্গে করিয়া থাকিতে ইচছা হয় । ভগবান এমন সুরূপ ছেলেকে হাবা করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন।--তঁাহার বিধান বোঝা কঠিন ৷” শ্ৰীকণ্ঠ---“তোমরা কেবল চেহারা দেখিয়া ভুলিয়া যাও ; উহার চরিত্র অতি কুৎসিত, পিতামাতার আদরে ছেলেটা একেবারে নষ্ট হইয়া যাইতেছে । অশুচি স্থানের জ্ঞান নাই, যেখানে সেখানে পড়িয়া আছে, ধূলির মধ্যেই ত অষ্টপ্রহর কাটায়, এত বড় ছেলে অঙ্গ-মলা মার্জনা করে না, আমার মনে হয়। এ সমস্তই ইচ্ছাকৃত। উহাকে আদর না। করিয়া নিত্য বেত্ৰাঘাত করিলে ছেলেটার বুদ্ধি জন্মিতে পারে।” মুক্তি কাম বলিলেন-“ও কথা ব’ল না, এমন নিরপরাধ শিশুকেও ব্যথা-দিতে হয় ?” s