পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জড়ভরত স্থায় ধূলায় লুষ্ঠিত হইয়া যেখানে সেখানে পড়িয়া থাকেন। কোন ব্যক্তি ভঁাহাকে কোন দিন একটা মোটবহনে নিযুক্ত করে, তিনি নীরবে বিনা আপত্তিতে তাহা মাথায় করিয়া তাহার বাড়ীতে পোছাইয়া দেন-সেই ব্যক্তি পুরস্কারস্বরূপ কিছু খাইতে দিলে তিনি সেইখানে তাহা আহার করেন। কিছু না দিয়া স্বীয় কাৰ্য উদ্ধারপূর্বক দূর দূর করিয়া তাড়াইয়া দিলেও ক্ষুধু না হইয়া তিনি সে স্থান ত্যাগ করেন-যে তঁহাকে যাহা বলে তাহাই ভরত ভগবানের আদেশ মনে করিয়া শিরো ধাৰ্য্য করিয়া লন। কারণ জগতে তিনি ব্ৰহ্ম ভিন্ন অন্য কিছুই উপলব্ধি করেন না । কোন দিন কোন নৌকার মাঝি লোক না পাইয়া ভঁাতাকে লইয়া যায়, -তিনি তাহার নিয়োগে সারাদিন বৈঠা চালাইয়া, লাগি ঠেলিয়া নৌকা বাহিয়া দেন। সন্ধ্যাকালে তঁাহাকে মাঝি বিদায় করিয়া দেয়, ক্ষুৎপিপাসা-জ্ঞান-বিরহিত ভ্রাতাকে মুক্তিকাম খুজিতে খুজিতে নদীতীরে পাইয়া গৃহে ফিরাইয়া আনেন, তাহার মূৰ্ত্তি দেখিয়া কাহারও বুঝিতে বিলম্ব হয় না, সেদিন কিছুই খাওয়া হয় নাই, অথচ মুখমণ্ডল সদানন্দময় । কে তঁহাকে কোথায় লইয়া গিয়াছিল, তাহা শতবার প্রশ্ন করিলেও ভারতের মুখে কোন উত্তর নাই। মুক্তিকাম ও অপরাপর ভ্রাতারা তঁহার এই দুৰ্দশা দেখিয়া দুঃখানুভব করেন, কিন্তু তঁাহারা কি করিবেন ! যজন-যাজন কাৰ্যোপলক্ষে তাহাদিগকে সৰ্ব্বদা বাহিরে থাকিতে হয়, কে এরূপ প্ৰাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে সর্বদা চক্ষে চক্ষে রাখিবে ? ক্রমেই ভ্ৰাতৃবৰ্গ তাহার প্রতি একটু উদাসীন হইয়া পড়িলেন। কতকাল গৃহস্থের পক্ষে এ ভাবে জড়বৎ ব্যক্তিকে পালন করিবার সুবিধা হয়!- ভরত এখন গৃহে না আসিলেও আর কেহ ব্যস্ত হন না। ভরতকে ধরিয়া কেহ তাহার গৃহের দাওয়ার জন্য মৃত্তিক কাটাইতেছে, তিনি RS