পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী কাহারও কাষ্ঠ কাটিতেছেন, সারাদিন এই ভাবে পরিশ্রম করার পর কেহ কিছু দিলে তিনি খাইলেন, না দিলে উপবাসী পড়িয়া রছিলেন। কোন দিন বৃক্ষমূলে, কোন দিন ভ্রাতৃগৃহে, কোন দিন বা কোন ব্যক্তির নিয়োগানুসারে গৃহ পাহারায় তিনি রজনী কাটাইতে লাগিলেন। প্ৰত্যেক ব্যক্তির কথা ভারত ভগবদ্বাক্যের ন্যায় বিশ্বাস করিয়া তাহা প্ৰতিপালন করিতেন। এই অসামান্য শ্রম, মনুষ্যের পরিচর্য্যাবৃত্তি ও বিশ্বাসের দ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞান তঁাহার চিত্তে উজ্জ্বল হইয়াছিল, সুতরাং তিনি হৃষ্টচিত্তে এ সমস্ত কাজ করিতেন । >>e একদা শ্ৰীকণ্ঠ বলিলেন, “হাবাটা পৃথিবীশুদ্ধ লোকের জন্য খাটিয়া মরে, আমাদের ক্ষেত্রের কাজ উহাকে দিয়া করাইলে হয়”-সমস্ত ভ্ৰাতাই এই কথার অনুমোদন করিলেন ; তখন তঁাহাদের নিয়োগানুসারে ভরত ক্ষেত্রের আইল বাধিবার কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলেন। ভরত আইল বঁাধিতে বাধিতে দেখিলেন, কতকগুলি পিপীলিকা ক্ষেত্রের জলে আবদ্ধ হইয়া প্রাণরক্ষার জন্য অপবুদিকে যাইবার পথ পাইতেছে না-তখন তিনি আইলের বঁাধ খুলিয়া দিলেন। নিজের বাধা অংশের সঙ্গে ভ্রাতাদের বাধা অংশও মুক্ত করিয়া দিলেন ; আবদ্ধ জল নিম্ৰান্ত হওয়াতে ক্ষেত্র শুষ্ক হইয়া গেল-এই অবস্থায় শ্ৰীকণ্ঠ আসিয়া দেখিলেন, হাবা সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে ; তখন ক্রোধান্ধ হইয়া ভঁাহাকে অত্যন্ত প্ৰহার করিতে লাগিলেন । হাবা গ্রাহ না করিয়া সেই প্ৰহার সহ্য করিতে লাগিলেন। তাহাতে শ্ৰীকণ্ঠের ক্ৰোধ আরও বৃদ্ধি পাইল, SRR.