পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী সেই লোকটিকে খুজিতেছিল। তাহদের সঙ্গে অনেক মশাল প্ৰজলিত ছিল, সেই আলোকে তৎস্থানের অন্ধকার দূর হইয়াছিল এবং অমানিশা সূৰ্য্যালোকিত দিবসের ন্যায় হইয়া উঠিয়াছিল। তাহারা সেই ক্ষেত্রের নিকট যাইবার সময় দেখিতে পাইল, মঞ্চোপরি একটি লোক বসিয়া আছে, তাহার কাটিবিলম্বিত পরিধেয় অতি মলিন, মাথার চুল জটায় পরিণত হইয়াছে, দেহ ধূলি-ধূসর। তাহারা জিজ্ঞাসা করিল, “তুই কে ?” জড়ভরত কোন উত্তর করিলেন না। ; একজন বলিল, “তুই আমাদের সঙ্গে চল ।” অমনই জড়ভরত ঈশ্বরাদেশ মনে করিয়া সেই দলের সঙ্গে চলিলেন । যে ব্যক্তি তাহাকে আহবান করিয়াছিল, সে চুপে চুপে সহচরীগণকে বলিল, “ইহার দেহখানি বেশ পুষ্ট। সুগঠিত দেহ এবং বর্ণ খুব উজ্জ্বল, ধূলি-মলিন হইয়াছে। যে পলাইয়া গিয়াছে। এ ব্যক্তি তাহার স্থান পূরণ করিতে পাৱিবে ।” সহচরীগণ সকলেই তাহার কথার অনুমোদন করিল। জড়ভরতকে তাহারা ধরিয়া লইয়া চলিল । বনমধ্যে পূজা হইতেছিল। একটি জীর্ণ মন্দিরের ইষ্টক ধসিয়া গিয়াছিল। তদুপরি অশ্বখবৃক্ষ উঠিয়াছে, স্থানে স্থানে মন্দির চুড়ার স্বলিত আস্তরের মধ্যে সেই বৃক্ষের মূল বাহির হইয়া পডিয়াছে। সেই মূলে যেন মন্দিরটি নাগপাশে আবদ্ধ হইয়াছে। অদূরে একটি পুরাতন পুষ্করিণী, তাহা শৈবালপূৰ্ণ ; তাহার এক কোণ হইতে একটি নরকঙ্কালের অংশ দেখা যাইতেছে, মন্দিরের পার্শ্বে একটা ভগ্ন অতি পুরাতন প্রাচীর। এই প্রাচীরের পার্শ্বে দত্ম্যপতি রুদ্রসহায় বসিয়াছিল, পুরোহিত তাহার কপালে রক্তচন্দনের সঙ্গে দীর্ঘ ত্রিপুণ্ডক পরাইয়া দিয়াছিল। তাহার পরিধানে রক্তপট্টম্বর, এবং গলদেশে লন্বিত দীর্ঘ জবামালা ծ ՀԵ