পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা মঙ্গলচণ্ডীর ব্ৰতকথা বহু প্ৰাচীন । শাক্তধৰ্ম্মের প্রভাব বিস্তায়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গদেশের সর্বত্র মঙ্গলচণ্ডীর পূজা ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল। চারি শত বৎসরের পূৰ্ব্বে বৃন্দাবন দাস লিখিযাছিলেন, মঙ্গলচণ্ডীর পূক্তক ব্ৰাহ্মণগণের সেই সময়ে যথেষ্ট উপাৰ্জন ছিল। এই পূজা উপলক্ষে যখন উৎসবাদি ক্ৰমেই বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, তখন সমাগত ভক্তগণের মনোরঞ্জনের জন্য ব্ৰতকথার উপাখ্যান ভাগ ক্রমশঃই পরিপুষ্ট হইল। দ্বিজ জনাৰ্দন প্রভৃতি কবিগণের বহু প্রাচীন ব্ৰতকথা পরবর্তী সময়ে অমর কবি মুকুন্দরামের হস্তে বিচিত্র রাগরাগিণীসমন্বিত কাব্যগীতিকায় পরিণত হইল। বৃন্দাবন দাসের সময়েও মঙ্গলচণ্ডীর গৌরবসুচক সুদীর্ঘ কাব্য বিদ্যমান ছিল এবং উহার পালা সমস্ত রাত্রি ব্যাপিয়া পূজোপলক্ষে গীত হইত, শ্ৰীচৈতন্যভাগবতে তাহা উল্লিখিত আছে । মুকুন্দরামের পূর্ববৰ্ত্তী বলরাম কবিকঙ্কণ রচিত চণ্ডীর অনেকাংশের উদ্ধার হইয়াছে। ১৫৭৯ খৃঃ অব্দে ত্ৰিবেণীর তীরবাসী পরাশর নামক ব্ৰাহ্মণের পুত্ৰ মাধবাচাৰ্য্য যে চণ্ডী প্ৰণযন করেন, কয়েক বৎসর হইল চট্টগ্রাম হইতে তাহা প্ৰকাশিত হইয়াছে। সেই চণ্ডীও মুকুন্দরামের সুবিখ্যাত চণ্ডীর পূৰ্ববৰ্ত্তী এবং শেষোক্ত কৰি মাধবাচাৰ্য্যের গ্রন্থ হইতে অবাধে ভাব ও উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। মুকুন্দরামের পরে অষ্টাদশ শতাব্দীর to