পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ব্যাধ-বালকগণের মধ্যে যখন কালকেতু দাড়াইত, তখন তাহাকে তাহাদের মণ্ডল বলিয়া মনে হইত। কালবৰ্ণ-কিন্তু বড় পরিষ্কার কালবৰ্ণ-যেন কৃষ্ণ হরিণীর একগুচ্ছ চামর ; তাহার গতিবিধি ও স্বচ্ছন্দ ক্রীড়াশীলতায় তাহাকে একটি হস্তি-শাবকের মত দেখাইত ; মাথায় জালের দড়ি বাধা, কণ্ঠে ব্যাস্ত্ৰ-নখ। ক্রীড়া-কৌতুকের মধ্যে মল্লযুদ্ধই বালকের প্রিয়, কাল-অঙ্গে রাঙ্গা ধূলি মাখিয়া সে বয়োজ্যেষ্ঠগণের সঙ্গেও প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করিতে ছাড়িত না ; একবার যাহাকে আঁকৃড়িয়া ধরিত, LB DBDB S BD L DDiYAg BLBBB BDD SS SBDDLD DDDDBK DLD মল্লখেলায় স্বীকৃত হইত না। সুতরাং কালকেতু অপ্ৰতিহত তেজে তাহাদের সম্রাটুপদে অভিষিক্ত হইয়াছিল, বালকগণের সে দণ্ড-মুণ্ডের কৰ্ত্তা ছিল । বনে বনে এই বালকগণ ছাগ, মেষ, এমন কি মহিষ পৰ্য্যন্ত তাড়া করিয়া বেড়াইত। শ্যেন, চিল, শকুনিকে বঁটুল চুড়িয়া মারিত। কালকেতুর অব্যৰ্থ সন্ধানে পক্ষীগুলি ঘুরিয়া ঘুরিয়া পড়িয়া মারিত। একদিন বালকের ধৰ্ম্মকেতুর গৃহ-প্রাঙ্গণে একটা মৃত শাৰ্দ্দল টানাটানি করিয়া লইয়া আসিল, ধৰ্ম্মকেতু দেখিল বাঘটার ঠিক কপালে বঁটুলের ঘা লাগিয়াছে। সে বলিয়া উঠিল, “বাহবা শিকারী, এই বাঘ যে মারিয়াছে তাহার বাহাদুৰী আছে।” বালকেরা বলিল, “তোমার পুত্র কালকেতুই এই বাহাদুর শিকারী।” এত বড় বাঘকে এরূপ নিপুণভাবে তাহার স্বাদশবৰ্ষীয় বালক শিকার করিয়াছে শুনিয়া ধৰ্ম্মকেতু সেই ক্ষুদ্র মেঘমণ্ডলের মত জমাট, শক্তিশালী বালকটিকে কোলে লইয়া চুম্বন করিল। 发$》