পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cogrf এবং বলিল, “আমি সমবয়স্ক ছেলেদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বলশালী ছিলাম, কিন্তু বার বৎসর বয়সে এরূপ বাঘ শিকার করা দূরে থাকুক, ইহাকে দেখিলে আমি ভয় পাইতাম ।” বালকটির কৰ্ণে জননী স্ফটিকের কুণ্ডল এবং কণ্ঠে ব্যাস্ত্ৰ-নখের সঙ্গে একগাছা স্ফটিকের হার দোলাইয়া দিয়াছিল। সেই হার এবং কুণ্ডল সঞ্চালিত করিয়া যখন বালক গৃহের আঙ্গিনায় উপস্থিত হইত, তখন ব্যাধিগৃহে যেন মেঘখণ্ডে বিজুলী ঝলসিত হইত ; সেই কালরূপের বাহার দেখিয়া মাতা নিদয়া ধূলিমাখা বালকটিকে কোলে জড়াইয়া ধরিত, তখন মনে হইত যেন মা যশোদা ভঁাহার কালমাণিকটিকে অঞ্চলে ধরিতেছেন। কিন্তু যখন কালকেতু আহার করিতে বসিত, তখন হাড়িতে হাঁড়িতে ক্ষুদ, শিকাপোড়া নেউল ও মৃগমাংস, একটি মাটিয়া পাথরপূর্ণ পুইশাক, সে মুহূৰ্ত্তের মধ্যে শূন্য করিয়া রন্ধনের স্থানের দিকে লোলুপ ভাবে দৃষ্টিপাত করিত ; মা নিদয়া বলিত, “বাছা! আর লোভ করিলে বুড়াটির জন্য কিছু থাকিবে না।” কালকেতু মাতার আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া হৃষ্টমনে উঠিয়া যাইত । কখনও বালক-দলের মধ্যে কালকেতু রাজা সাজিত, তাহারা নানাবিধ বন্য কুসুম আনিয়া তাহান্ন মুকুট রচনা করিয়া দিত ; বিচিত্র পল্লবে কুসুম-খচিত করিয়া তাহার মালা গাঁথিয়া দিত; ইহার মধ্যে যদি কেহ জবাফুল ছিড়িয়া আনিত, তবে সে তাহার গণ্ডদেশে বিষম চাপড়, মারিত । পল্লবের সঙ্গে বিলুদাল পাইলেও সে বিহুপত্ৰছেত্তার প্রতি সেই ব্যবস্থা করিত। জবাফুলের অধিকারিণী চণ্ডিকা মাতা, বিশ্বদলের মালিক মহেশ্বর, “তঁহাদেৱ সামগ্ৰীতে হাত দিলি কোন সাহসে” এই DDS DB BBtD DDDD gBD DDDSS SBLBD DzS DBBuS RSR