পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেীয়াণিকী পদার্পণের দুই দিন পরেই ফুল্লিরা বুঝিয়াছে ; বৃদ্ধ ব্যাধ। নটেশাক পাইয়া তাহার এক একটি পর্ণ দ্বারা তে-আঁঠিয়া তালের মত এক একটা বড় বড় অল্পের গ্রাস তুলিয়া মুখে লয়, ফুল্লারার রান্না অমৃততুল্য, খাইয়া ধৰ্ম্মকেতু তাহাকে মনে মনে আশীৰ্ব্বাদ করিতে থাকে। কালকেতু খাদ্যসম্বন্ধে কখনই কোন মতামত প্ৰকাশ করিতে অভ্যন্ত নহে, যেহেতু উদরপূৰ্ত্তির দিকেই তাহার বেশী লক্ষ্য থাকে, তথাপি ভোজনের শেষ অধ্যায়ে সে প্ৰায়ই বলিয়া থাকে-“রন্ধন ক’রেছ ভাল, আর কিছু আছে ?” ফুল্লয়ার রান্নায় আর একটা বিশেষত্ব এই ছিল যে, যেদিন পরিবারের যে কোন ব্যক্তিব যাহা খাইতে সাধ যাইত, ফুল্পর অন্তর্যামীর মত তাহা বুঝিতে পারিত-সে। সাধ কহিবার পূর্বেই গৃহলক্ষ্মী পূর্ণ করিয়া দিত। এই ভাবে কয়েক বৎসর কাটিয়া গেল, কালকেতুর বাহুবল ও ফুল্লরার গৃহস্থালী সেই কিরাতনগরে প্রবাদ-বাক্যের ন্যায় ছিল। তাহারা আহারের সন্ধানে দিবাভাগ কৰ্ত্তন করিত, তখন কিছু মনে হইত না, কিন্তু যখন গৃহ-কাৰ্য্যেব্য অবসানে শুইতে যাইত-পরদিনের গৃহস্থালীর চিন্তু তখনও মনে হয় নাই, সেই সময়ে সহসা যেন কোন অস্পষ্ট স্মৃতি মনে জাগ্রত হইত, এই আহার-চেষ্টাই তাহাদের শেষ উদ্দেশ্য নহে ; কোন গুঢ় অভিপ্ৰায়ে কোন দেব-মহিমা প্রচারার্থ যেন তাহারা ভূতলে জন্মগ্রহণ করিয়া এই দুঃখময় সংসারের বোঝা মাথায় তুলিয়া লইয়াহে, তাহারই কথা অস্পষ্টভাবে মনে হইত। তখন কালকেতু শৃঙ্খলাবদ্ধ DBDLD DLLD DBB BDDDDB BDDDD BDB BD BBSBBBDBD S DS গভীরা হইয়া শূন্য দৃষ্টিতে চাহিয়া কি জানি ভাবিত, কিন্তু এই ভাব বিদ্যুতের মত মানস-ক্ষেত্রে খেলিয়া চলিয়া যাইত । R》↔