ফুল্পর বলিয়া দিল না। কালকেতু ভাবিল, আমার পক্ষে এই মৃগটি রামচন্দ্রের মায়া মৃগ হইল । ক্ষণে ক্ষণে সে শুনিতে পাইল, তাহার পাদক্ষেপে চিকিত ভগ্ন-নিদ্র পশুরাজ দস্ত কড়মড় করিয়া ভীষণ গৰ্জন করিতেছে, অন্যদিন সেই গৰ্জনে ভীতির আক্তি থাকে, কিন্তু আজিকার গর্জন মেঘমন্দ্রের ন্যায়আজ পশুরাজ তাহার সম্পূর্ণ রাজশক্তির গৌরবে গর্জন করিতেছে। বিস্মিত হইয়া কালকেতু গৰ্জ্জন অনুসরণ করিয়া শূল হন্তে ধারণ পূৰ্ব্বক ছুটিল, কিন্তু সে খুজিয়া ক্লান্ত হইল, সিংহের সাক্ষাৎকার লাভ कब्लि मा ! শিবদূত নন্দীর ন্যায় ব্যাধনায়ক শূল হন্তে। যদি আকাশে সূৰ্য্য কিত তবে দেখিতে পাওয়া যাইত, কালকেতুর বদনমণ্ডলে অলৌকিক দীপ্তি, বিদ্যুৎপ্ৰভা মেঘের ন্যায় সেই দীপ্তিতে কাল মুখমণ্ডল সমুজ্জল ; তাহার হস্তের শূল পিণাকীর পিণাকের ন্যায় ধ্রুব ; গণ্ডার-চার্মের আচ্ছাদনে কপাটের ন্যায় বক্ষঃস্থল আবৃত ; সে পশুকুলের যম-স্বরূপ, তাহার দুই বিরাট ভ্র কুঞ্চিত-সেই কুঞ্চনে যে রোষ সুচিত হইতেছে, তাহাতে কত শত সিংহ ব্যাঘ্ৰ পুড়িয়া মরিতে পারে। কালকেতু বিফল প্ৰয়াসে পশু সন্ধানে ব্যস্ত। সে সহজে ছাড়িবার লোক নহে । যে বিষয়টি সে ধরে তাহা তাহারই ধনুর ন্যায়। সে আঁাকড়িয়া ধরে। সে এই কুজ্বািটকা-সমুদ্রের একটা কিনারা করিয়া আজ যাইবে, এই তাহার পণ । যদি তৃতীয় প্রহর বেলাও হয়, তথাপি সে ক্ষান্ত হইবে না, ইহার মধ্যে সুৰ্য্যদেব অবশ্যই উঠিবেন। ইত্যবসরে আমরা পশুজগতের একটা চিত্র প্রদর্শন করিব । পিতামহীর অঙ্কে একটি শুভ্ৰজটাবিশিষ্ট খৱ-চক্ষু সিংহশাবক গুইয়াছিল। &&够 SG
