পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী সে রাত্রির গল্পের শেষটুকু পিতামহীর মুখে শুনিবার জন্য আবদার করিতে লাগিল । পিতামহী ত্ৰিজটা সিংহী, বয়স ত্ৰিশহাজার বৎসর, চণ্ডীর বাহন সিংহের মাতা, এবং চণ্ডীর বরে অমর। ত্ৰিজটা সিংহী বলিতে লাগিল, “সে অনেক কথা, মানুষ যে কি করিয়া সিংহের উপরে গেল, সে ইতিহাস অতি দীর্ঘ। প্রথমতঃ মানুষগুলি আমাদের মত ছিল, দাতগুলি ঠিক আমাদের মত না হইলেও এখন যে কচি কচি ইন্দুরের দাঁতের মত দাঁত-তাহা অপেক্ষা মানুষের DD BBD DD DS DDgB BBSDD DS BBBDD DBBB BBDB সঙ্গে মানুষ হাতাহাতি যুদ্ধ করিত, সেই যুদ্ধে শতকরা নব্বইটি মানুষ মারা পড়িত, দুই দৃশটা সিংহও মানুষের হাতে মরিতে দেখিয়াছি। অনেক সময় গাছের ডাল ও পাথর লইয়া তাহারা সিংহের সম্মুখীন হইত, কিন্তু সিংহের তাড়া খাইয়া হাতের পাথর ও বৃক্ষশাখা খসিয়া পড়িত, আমরা অনায়াসে তাহাদিগকে মারিয়া খাইতাম । বানারগুলির মধ্যে এক জাত আছে, তাহারা এখনও মানুষের মত লাঠি ঘাড়ে করিয়া তাড়িয়া আসে ; আমাদের দাঁতখিচুনী দেখিলে তাহাদের হাতের লাঠি খসিয়া মাটিতে পড়ে ।” সিংহ শাবক-“আমাদের এত বড় প্ৰতাপ থাকিতে মানুষগুলি পৃথিবী অধিকার করিল কিরূপে ?” ত্ৰিজটা--"সে একদিন দৈবাৎ । মৰ্ত্ত্যলোকে ব্ৰহ্মা আসিয়াছিলেন। আমরা চণ্ডীর প্রজা, অপর দেবতাদের বড় মানিতাম না । আমাদের কৰ্ত্তারা নাকি ব্ৰহ্মাকে দেখিয়া উঠিয়া দাঁড়ান নাই ; বলিয়াছিলেন, তুমি যেই হও ঠাকুর, আমরা তোমার পরিচয় জানিতে চাই না-আমরা উঠিতে পারিব না, তুমি অন্য পথ দিয়া চলিয়া যাও। ব্ৰহ্মা ভারি রাগ RRe