পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C. রাত্রে কোদালী, খনত ও ঝুড়ি লইয়া স্বামী স্ত্রী দাড়িম গাছের নীচের মাটী খুড়িয়া সাত ঘড়া মাণিক্য পাইল। এই বিপুল অর্থ তাহারা ব্ৰাখিবে কোথায় ? কালকেতু উহা যেখানে পাইয়াছিল। সেইখানে মাটী চাপা দিয়া রাখিল ও দূৰ্ব্বাপূর্ণ মৃত্তিকা উহার উপর চাপাইয়া স্থানটী গোপন করিয়া রাখিল । পর দিন প্ৰভাতে কালকেতু অঙ্গুরীটি ভাঙ্গাইবার জন্য মুরারিশীলের বাটীর দিকে গমন করিল। কিরাতনগর ছাড়িয়া পদ্মালয়া-পল্লীতে মুরারিশীল বাস করে। কালকেতু তথায় যাইয়া ‘খুড়া খুড়া’ বলিয়া ডাকিতে লাগিল। মুরারিশীল কালকেতুর মাংসের বাবদ আড়াই বুড়ি কড়ি ধারিত, কালকেতুর স্বর শুনিয়াই বেণে অন্তঃপুৱীতে প্ৰবেশ করিয়াছিল। মুরারির অসংখ্য অর্থ, অথচ একটি ভূত্য নাই। বেণেনী বাহিরে আসিয়া বলিল, “তোমার খুড়া প্ৰাতে উঠিয়া খাতক-পাড়া গিয়াছে, মাংসের দামটি এখন পাবে না। আজ বন থেকে একন্ডার কাঠ ও এক ঝুড়ি কুল লইয়া আসিও ; কাল তোমার হাল-বাকী শোধ করিয়া দিব । পোদার বাড়ী আসিলে তাহাকে তোমার কথা বলিব ।” কালকেতু বলিল, “আজি বাকী কড়ির জন্য আসি নাই,-একটি অঙ্গুরী ভাঙ্গাইবার জন্য আসিয়াছিলাম, তা কা’ল বাকী কড়ি দিও, আজ এখন আলি খুড়ি, তোমাকে নমস্কার করি।” অঙ্গুরীর কথা শুনিয়া বণিক-নিতস্বিনীর মুখে একটা সকৌতুক হাসির রেখা ফুটিয়া উঠিল। সে বলিল, “বাছা, অঙ্গুরীট একবার দেখাইয়াই যাও না।” এদিকে ঘরের এক ছিদ্র পথে কাণ পাতিয়া মুরারি এই কথোপকথন শুনিতেছিল ; সে २89