পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cश्रोद्भाभेिको হইলে, তিনি কি করিয়া স্থির থাকিবেন ? তিনি অহৰ্নিশ মহেশ্বরের নিকট শক্তি প্রার্থনা করিয়া অনিদ্ৰায় রজনী যাপন করিতেন ; দৈবজ্ঞ তঁহাকে নিভৃতে বলিয়া গেলেন, বাসরঘরে “দুর্লভ লখীন্দরে’র সর্পাঘাতে মৃত্যু অবধারিত। ইহা শুনিয়া সদাগরের সুদীর্ঘ নিশ্বাস পতিত হইল ; তিনি সংসারের সুখ-দুঃখের উৰ্দ্ধে যে শান্তিময় স্থান আছে, অন্ধকারে রত্নান্বেষী ব্যক্তির ন্যায় তাহাই খুজিতে লাগিলেন। অবিরাম তাহার মুখে ‘হয়’ ‘হর’ শব্দ ধ্বনিত হইত-পুত্রের অশুভ কথা তিনি সনকাকে জানাইলেন না, নিজে সেই মহাপরীক্ষার দিনের জন্য প্ৰস্তুত হইয়া ब्रईिब्भ । দেখিতে দেখিতে লক্ষ্মীন্দর কৈশোর অতিক্ৰম করিল। সনক মায়ার ফঁাদে পা দিয়াছেন, দিবারাত্রি “লখা’র জন্য কত শত অনুষ্ঠান করিতেছেন। কিন্তু চাদ-সদাগর পুত্রকে ততটা আদর করেন না, সনক তাহাতে দুঃখিত হন। কিন্তু চাদ যে কারণে লক্ষ্মীন্দরকে আদর করিতে যাইয়াও ফিরিয়া আসেন, র্তাহার পিপাসিত নেত্রদ্বয় যখন পুত্ৰমুখ-সুধা পান করিতে লালায়িত হয়, তখনও যে কারণে তিনি লোলুপ চক্ষুদ্বয়কে প্ৰতিনিবৃত্ত করেন, তাহা সনক জানিতেন না ; সুতরাং তিনি ভাবিতেন, স্বামী শোকে-দুঃখে উন্মনা ও উদভ্ৰান্ত হইয়া পড়িয়াছেন। পূর্বেরু মত আর তঁাহার হৃদয় কোমল নাই, তিনি নিৰ্ম্মম জড়বৎ হইয়া গিয়াছেন {